বিনিয়োগকারীদের জন্য সুরক্ষা ফান্ডের (আইপিএফ) ব্যবহার নিয়ে সিকিউরিটিজ আইন ব্যত্যয়ের অভিযোগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিগত পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই তলবকৃতদের মধ্যে ডিএসইর প্রয়াত ২ পরিচালকও রয়েছেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. সুলতান সালাহ উদ্দিন সাক্ষরিত একটি শোকজ চিঠি ডিএসইতে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে মো. ইউনুসুর রহমানের নেতৃত্বাধীন পর্ষদের ২০২১ সালের ২৮ জুন ও ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় অংশগ্রহণ করা ১২ জন পরিচালককে তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের ১৮ মার্চ রকিবুর রহমান ও ৯ আগস্ট মারা যাওয়া হাবিবুল্লাহ বাহার রয়েছেন।
বিনিয়োগকারীদের জন্য সুরক্ষা ফান্ড সংগ্রহ ও ব্যবহার নিয়ে সিকিউরিটিজ আইনের ব্যত্যয় হয়েছে বলে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর গঠিত এক তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিএসই কর্তৃপক্ষ আইপিএফ ফান্ড সঠিকভাবে সংগ্রহ করেনি এবং তার ব্যবহার নিয়েও তদন্ত রিপোর্টে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
এ কারণে আগামী ২৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় বিএসইসিতে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডিএসইর তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছে। যেখানে ডিএসইর প্রয়াত ২ পরিচালক রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, “বিএসইসি একটি তদন্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিগত পর্ষদকে তলব করেছে। এক্ষেত্রে বিএসইসি কর্তৃপক্ষ ডিএসইর তদন্ত রিপোর্টটি হুবহু তুলে ধরে তলব করেছে। অথচ সবার আগে রিপোর্টটি কতটা সঠিক, তা নিয়ে পর্যালোচনা করা দরকার ছিল।”
মৃত মানুষকে বিএসইসির তলব করাকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলছেন ডিএসইর একজন পরিচালক। তিনি বলেন, “হাবিবুল্লাহ বাহার ও রকিবুর রহমান যে মারা গেছেন, এটা সবাই জানে। দেশের সব গণমাধ্যমেও তাদের মারা যাওয়ার খবর এসেছে। এই অবস্থায় বিএসইসি তাদেরকে তলব করেছে। যে মানুষ মারা গেছে, সে কিভাবে শুনানিতে হাজির হবে। এই তলবের মাধ্যমে বিএসইসি খুবই অপেশাগত কাজ করেছে এবং অযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানান, তারা দুজন মৃত এটি আমরাও (বিএসইসি) জানি। জেনেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। নিয়ম ফলো করার জন্য এটা করা হয়েছে। এখানে বিএসইসির কোনো ভুল নেই। শুনানির দিনে তাদের নাম বাদ পড়ে যাবে।