ক্যানোলা ও সানফ্লাওয়ার অয়েলসহ সব ধরনের ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক, কর ও ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দিয়েছে সরকার। ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলে ১৬ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর জানায়, পবিত্র রমজান মাসে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম ওয়েল আমদানিতে বিদ্যমান সব আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি এবং অগ্রিম আয়কর ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি দিয়ে পৃথক ৩টি প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে।
এ ছাড়া এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসকল পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ব্যতীত অন্য কোন শুল্ক-কর নেই।
এদিকে, গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে সয়াবিন ও পাম ওয়েলের ক্ষেত্রে শুল্ক-করাদি অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন দুটির মেয়াদ গতকাল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রযোজ্য ছিল। ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাদের কাছে ভোজ্য তেলের মূল্য সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে সয়াবিন ও পামতেলের পাশাপাশি এবার অপরিশোধিত/পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর ও মূসক কমানো করা হয়েছে। সয়াবিন ও পামতেলের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দর বিবেচনা করে আগামী রমজান মাসে পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে নতুন প্রজ্ঞাপন তিনটির মেয়াদ আগামী ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।
সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এবং মূল্য সংযোজন কর হ্রাস করার ফলে এ সব তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০-৫০ টাকা হ্রাস পাবে বলে মনে করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তাতে এসব পণ্যের দর ভোক্তাদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।