অর্থনীতি

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার 

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার 

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করছে সরকার। ভারতীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড এই চাল সরবরাহ করবে।

প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ৫৪.৮০০৪ টাকা হিসেবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা।

এছাড়া দেশীয় উৎস থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ও ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল ক্রয়ে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০টাকা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-৪ এর আওতায় ৫০ হাজার (+৫%) মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। দেশের সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার (+৫%) মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৫টি দরপত্র জমা পড়ে।

৫টি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড, ভারত এই চাল সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন ৪৫৬.৬৭ মার্কিন ডলার হিসেবে এই চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ২৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ৫৪.৮০০৪  টাকা।

সূত্র জানায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি কেজি ৯৫.৪০ টাকা হিসেবে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

জানা গেছে, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। ৪টি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাষ্ট্রিজ, ঢাকা ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) এই মসুর ডাল সরবরাহ করবে। প্রতি কেজি ৯৫.৪০ টাকা হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ (+৫%) লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।

সূত্র জানায়, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ২ কোটি ২০  লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের জন্য ১টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে।দরপ্রস্তাবটি আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড ঢাকা-এর কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করা হচ্ছে। প্রতি লিটার ১৭২.২৫ টাকা  হিসেবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৮৯ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।