বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাবে অর্থনীতির গতি ধীর হয়েছে, তা সামলানো অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আর্থিক খাতের নানা প্রসঙ্গে আইএমএফের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন বাংলাদেশে সংস্থাটির রিভিউ মিশনের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।
সংবাদ সম্মেলনে ক্রিস পাপাজর্জিও জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বাংলাদেশের আগের শর্ত পূরণের পর ফেব্রুয়ারিতে চতুর্থ ধাপে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দেবে। এ লক্ষ্যে আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রস্তাবটি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় তোলা হবে। পর্যালোচনা শেষে অনুমোদনের পর ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থ বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি।”
ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, “বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও আর্থিক খাতের সংস্কারেই গুরুত্ব দিচ্ছে আইএমএফ।”
আর্থিক খাতের সংস্কার উদ্যোগ বিষয়ে তিনি বলেন, “সঠিকভাবে খেলাপি ঋণ চিহ্নিত করতে হবে। আর্থিক খাত পুনর্গঠনের জন্য করতে হবে রোডম্যাপ।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসনের প্রতিও জোর দেন আইএমএফের মিশন প্রধান।
জানা গেছে, আইএমএফের শর্ত পূরণ করে ১৮ ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ১৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। যেখানে ডিসেম্বর পর্যন্ত দাতা সংস্থাটির লক্ষ্য ছিল ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করছে।