বেশ কিছুদিন বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় বা ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও সম্প্রতি তা কিছুটা অস্থিরতায় রূপ নেয়। এই অস্থিরতা দূর করতে রেমিট্যান্সের ডলার রেট সর্বোচ্চ ১২৩ টাকায় কিনতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত দামে ডলার কেনা ১৩টি ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৈঠকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রেমিট্যান্সের ডলার সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় সংগ্রহ করতো ব্যাংকগুলো। কিন্তু ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে অতিরিক্ত দামে রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে শুরু করে। কোনো কোনো বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস ১২৭ টাকায় রেমিট্যান্সের ডলার কিনেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অভিযোগ পড়েছে। এরপরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি মনিটরিং করা শুরু করে। যে কয়টি ব্যাংক অতিরিক্ত দামে ডলার কিনেছে এমন ১৩ ব্যাংকের প্রতিনিধিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডাকা হয়।
বৈঠক সূত্র জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর কাছে বেশি দরে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করার কারণ জানতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন তারা জানায়, ব্যাংকগুলো ওভারডিউ পেমেন্টের চাপ রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকগুলো জানায়, কম দর দিয়ে রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহ করতে পারছে না। বিপরীত দিকে পেমেন্ট ডেডলাইন কাছাকাছি সময় চলে এসেছে তাই তারা রেমিট্যান্সের ডলার অতিরিক্ত দরে কিনেছে।
এদিকে, অতিরিক্ত দাম দিয়ে ডলার কেনায় ডিসেম্বরের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ডলার দাম বেশি পাওয়ায় বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে প্রবাসীরা। যার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। চলতি মাসের ২১ দিনে ২ বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের ডিসেম্বরের পুরো মাসের চেয়ে বেশি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার।