ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয়ের উপর কর দেওয়ার সময় যাচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আগামী ৩১ জানুয়ারি এবং কোম্পানির করদাতাদের আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।
অর্থবছরে একজন ব্যক্তি যে আয় করেছেন, আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ব্যক্তির সারা বছরের আয়-ব্যয় ও সম্পদের তথ্য নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় বেশ কিছু কাগজপত্র করদাতাকে দিতে হয়। এবার এসব কাগজপত্র অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে এনবিআর।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশনা অনুযায়ী, আয়কর দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে- ইটিআইএন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়ের বিবরণী দিতে হয়। যেমন: আয়ের উৎস চাকরি হলে বেতন খাতের আয়ের বিবরণী, গৃহ সম্পত্তি থেকে আয় থাকলে প্রমাণপত্র, জমি ক্রয় বা বিক্রয় করলে তার তথ্য। ব্যবসা খাতের আয় থাকলে আয়-ব্যয় বিবরণী, আর্থিক পরিসম্পদ থেকে আয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকের সুদ বা মুনাফা সংক্রান্ত কাগজপত্র, সঞ্চয়পত্রের সুদ বা এফডিআর বা মেয়াদি স্থায়ী আমানতের কাগজপত্র। আয়করদাতার বিস্তারিত ঠিকানা এবং আগের বছরের রিটার্নের তথ্য, একাধিক আয়ের উৎস থাকলে প্রমাণপত্র, বিনিয়োগের বিবরণ, সম্পত্তির তথ্য এবং করমুক্ত কোনো আয় থাকলে সেগুলোর কাগজপত্র।
এদিকে, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করে সঙ্গে সঙ্গে সার্টিফিকেট তুলে নেওয়ার বিষয়টিও সহজ করেছে এনবিআর। একই সঙ্গে আয়কর রিটার্নের দাখিলের প্রমাণপত্রও অনলাইনে ডাউনলোড করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে এনবিআর। এ কারণে বিদ্যমান অনলাইন রিটার্ন দাখিল করার পর আয়কর সার্টিফিকেটের জন্য কোনো ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয় না করদাতাদের।
যাদের করযোগ্য আয় রয়েছে, তাদের অবশ্যই রিটার্ন দিতে হবে। কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি হয়; মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে ৪ লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং প্রতিবন্ধী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার আয় যদি বছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয়; গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৫ লাখ টাকার বেশি হয় তাহলে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।