শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে আমরা এমন একটা সময় আছি যখন শেখ হাসিনার মত একজন রাষ্ট্রনায়ক পেয়েছি। দেশের জম্য একজন শেখ হাসিনা দরকার। এ মানুষের থেকে শেখার শেষ নেই।
মঙ্গলবার সন্ধায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একসাথে থেকে অনেক কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তার স্মৃতিশক্তি অসাধারণ। শুধু তাই নয়, তিনি যে সারাদেশ নিয়ে কিভাবে চিন্তা করেন তা বলে বুঝানো যাবে না।
তিনি যখন বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বসেন, কথা বলেন, তখন বিদেশী বিভিন্ন দেশের প্রধানরা খুব মনোযোগ দিয়ে তার কথা শোনেন। কারণ তারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন ভিত্তিহীন কথা বলেন না।
যারা বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারকে সমূলে ধ্বংস করে পাকিস্তানিদের দোষরদের এ দেশে রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কিন্তু তারা জানেন না আদর্শের কোন মৃত্যু নেই। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে নিয়ে এ রাষ্ট্র গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিই।
বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে কান্যারও সুযোগ পায়নি মানুষ। অনেকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য কেউ রাস্তায়ও নামেনি। এটা একেবারেই ভিত্তিহীন। সেদিন রাস্তার নামার সুযোগ দেয়নি। কারফিউ দিয়ে ৫ বছর দেশ চলেছে। সবকিছু উলটপালট হয়ে গেল। পাকিস্তানের আদলে হয়ে গেল বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। এর মধ্যে দেশে ফিরে এলে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন মানুষ কাঁদছে, প্রকৃতি কাঁদছে। সেদিন মনে হয়েছিল বাংলাদেশ ফিরে এসেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে যে কান্নার সুযোগ পায়নি, শেখ হাসিনাকে পেয়ে মানুষ জাতির পিতাকে হারানো কান্না নতুনভাবে কান্না করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সেদিন থেকে সবকিছু বিসর্জন দিয়ে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। শোককে শক্তিতে পরিণত করে তিনি এগিয়ে যাচ্ছে অসাধারণ গতিতে। পিতার সবার স্বপ্ন একে একে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। পালটে গেল রাজনীতি পুরো চালচিত্র। নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে অনেক হারে। নারীর সর্বত্র অংশগ্রহণ শেখ হাসিনার অবদান।
চিরদিনের খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশের পরিণত করেছেন। এজন্য তিনি কৃষকজননী হয়েছেন। কৃষিবান্ধব, শিক্ষাবান্ধব,শ্রমিকবান্ধজ সাহিত্যপ্রেমী, সংস্কৃতিপ্রেমী একজন প্রধানমন্ত্রী কোথায় পাওয়া যাবে। যার কোন লোভ নেই, অহংকার নেই। এমন একটি মানুষকে বঙ্গমাতা তৈরি করেছেন। বাবা মায়ের সংগ্রাম দেখে তিনি ধীরে ধীরে আজ নন্দিত নেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমরা উন্নত দেশে পরিণত হওয়াএ স্বপ্ন দেখতে পেরেছি।
শেখ হাসিনা শুধু লেখক হলেও দারুণ জনপ্রিয়তা পেতেন। তিনি যখন লেখেন একেবারে প্রাণখোলে লেখেনে। বিশ্বের জন্য একজন সুস্থ শেখ হাসিনা কামনা করছি। আমরা সৌভাগ্যবান। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, শেখ হাসিনা বহুমাত্রিক পরিচয়ে অনন্যা। তিনি দায়িত্বশীল মা, স্নেহশীলা বোন।
যিনি আমাদেরকে শেখান মানুষের জন্য কীভাবে কাজ করতে হবে। কিভাবে ভালবাসতে হবে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর কন্যা হিসেবে তিনিও নিজের জীবন মানুষের জন্য উৎসর্গ করছেন।
হাসিনা শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীত্ব চান না। তিনি এদেশের মানুষের মুক্তি চান। তিনি আমাদের প্রধান শিক্ষক। তিনি আমাদের বাতিঘর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, যখন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের বিষয়টি আসছিলো আমি ভাবছিলাম উনি আসলে কী করেছেন। আমি ভেবেছি। কিন্তু বিষয়টি অন্ধের হাতি দেখার মত। অঅর্থাৎ তাঁর বিশালতা শুধু অনুভব করা যায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অবদান বুঝতে হলে আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভিশন বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের একজন সুস্থ শেখ হাসিনার প্রয়োজন। আমরা যত বেশি তার জন্মদিন উদযাপন করতে পারবো এ দেশ তত এগিয়ে যাবে।
সংগঠনের সদস্য সচিব সৈয়দ জাফর আলী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাঙ্গালীর সার্বিক মুক্তির জন্য যার জন্ম হয়েছিলো তিনি শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি শিক্ষা ক্যাডারে চলমান সংকট তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র সরকার। আলোচনা সভা শেষে শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও দোয়া শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।