সম্প্রতি এমপিওভুক্ত হওয়া শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার কাকিলাকুড়া মালেকুননিসা হজরত আলী কলেজের নিয়মিত শিক্ষকদের নাম বাদ দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এভাবে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আবদুল খালেক ও অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম পরস্পরের যোগসাজশে নিয়মিত শিক্ষকদের বাদ দিয়েছেন। নতুন নিয়োগ দেওয়া শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ পিছিয়ে দেখানো হয়েছে। তাদের এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন চূড়ান্ত করে সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
২০১৩ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে চাকরি করে আসা বেশ কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষকতা করা ব্যক্তিদের মৌখিকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষকের বিপরীতে ১৫ থেকে ২০ লাখ করে টাকা নিয়ে কলেজের সভাপতি আবদুল খালেক ও অধ্যক্ষ রেজাউল করিম নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। হঠাৎ চাকরিচ্যুত করা শিক্ষকদের কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। চাকরি হারিয়ে এসব শিক্ষক এখন মানবেতর জীবনযাপন করেছেন।
ওই কলেজের প্রভাষক (পৌরনীতি ও সুশাসন) এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রতিষ্ঠাকাল (২০১৩ সাল) থেকে এই কলেজে শিক্ষকতা করে আসছি। সম্প্রতি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর হঠাৎ করে কলেজের সভাপতি আবদুল খালেক আমাকে বলেন, তোমার আর এই কলেজে আসার দরকার নেই। কাল থেকে আসবে না। এ কথা শুনে আমি অনেকটা হতবম্ব হয়ে যাই। আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। কেন আমাকে অপমানজনকভাবে কলেজ থেকে চাকরিচ্যুত করা হলো? খবর নিয়ে পরে জানতে পারলাম, পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ে শফিকুল ইসলাম নামের একজনের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নগদ নিয়ে আমাকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের সভাপতি মো. আবদুল খালেক বলেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলছে। আমরা ইতোমধ্যে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। যেসব শিক্ষককে নেওয়া হয়েছে, তারা আগে থেকেই এই প্রতিষ্ঠানে আছেন।
যদি এসব শিক্ষক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানে থাকেন, তাহলে যাদের এখন বাদ দিচ্ছেন, তাদের কেন একই বিষয়ে নিয়োগ দিয়েছিলেন? এমনটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে এখন কোনো কথা বলতে পারব না। যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বৈধভাবে দেওয়া হয়েছে।