অনলাইন বেতন নির্ধারণী আইবাস প্লাস (ibas++) সিস্টেম থেকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অপশন বাদ দিয়ে নতুন করে অনলাইন বেতন নির্ধারণী ‘ibass++’ সিস্টেম আপডেট করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে প্রাথমিকের শিক্ষকরা।
শনিবার (১৯ আগস্ট) ২০১৫ সালের আগে সিইনএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্কেলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের পক্ষে এ চিঠি দিয়েছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের আগে সিইনএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্কেল নিম্নধাপে হওয়ায় মূল বেতন কমে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শিক্ষকরা। গত ২৩ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিইনএড/ডিপিএড প্রশিক্ষণগ্রহণকারী সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ’ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর সে চিঠি পাঠানো হয়।
শিক্ষকরা বলছেন, ওই পরিপত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ১২ আগস্ট জারীকৃত একটি পত্রের স্মারক নং উল্লেখ করে ‘ঘ’ অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য বলে উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনও সাল উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু অনলাইন বেতন নির্ধারণী ‘ibas++’ সিস্টেম অপশনে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অপশন সন্নিবেশ করায় শুধুমাত্র ২০১৫ সালের পে স্কেলের পর যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে, তাদের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে।
শিক্ষকদের দাবি, ২০১৫ সালের আগে যারা সিইনএড প্রশিক্ষণগ্রহণ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত পত্রে সাল উল্লেখপূর্বক কোনও নির্দেশনা নেই। তাই অনলাইন বেতন নির্ধারণী ‘ibas++’ সিস্টেমের অপশন থেকে ২০১৫ সাল বাদ দিতে হবে। তাহলে সিইনএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্কেল নিম্নধাপে হওয়ার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ উচ্চধাপে করা সম্ভব হবে।