শিক্ষা

নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

এক দফা দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে আজিমপুর থেকে সায়েন্স ল্যাব এবং সায়েন্স ল্যাব থেকে আজিমপুর অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।  বি আদায়ের বিজ্ঞপ্তি না আসলে তারা আত্মহত্যা করার কথাও বলেন।  

নির্ধারিত জিপিএ শিথিল করে, তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন হওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন তারা। 

তিতুমীর কলেজের মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী রবিন বলেন, আমাদের এই জীবন রেখে কী লাভ যদি শিক্ষা জীবন শেষ না করতে পারি। আমাদের জীবন এমনিতেই শেষ। তাই আমরা গণআত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী কাওসার আহমেদ বলেন, আমাদের জীবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শেষ করে দিয়েছে। এখন বাঁচা আর না বাঁচা একই কথা। আপনারা দেখেন, ঢাবির শিক্ষার্থীরা যদি কোনো একটি বিষয় অকৃতকার্য হয় তাহলে ওরা পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে উঠতে পারে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে বৈষম্য কেন। আমরা এক বিষয় অকৃতকার্য হলেও পুনরায় ওই শিক্ষাবর্ষের সকল বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হয়। কোনো ইমপ্রুভমেন্ট দেওয়ার সুযোগ নেই। যার ফলে আমাদের শিক্ষাজীবন অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই আমারা চাই, এই বৈষম্য দ্রুত সমাধান করা হোক।

সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ক এবং ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য বলেছেন, তিন বিষয়ে অকৃতকার্যদের বা সিজিপিএ শর্ত পূরণ করতে না পারা শিক্ষার্থীদের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের সুযোগ নেই।

এই একই দাবিতে কিছুদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ২২ আগস্ট তারা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিলেন।

সরকারি এই সাত কলেজ হলো— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।