ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত বছর সারা দেশে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন। দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর এ পর্যন্ত রেকর্ডসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর এই তালিকায় ছিলেন শিক্ষার্থীরাও। ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রাণ।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে এবার আগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ ঠেকাতে শীতের শেষেই দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, হাসপাতাল, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা জোরদার করতে বলা হয়েছে।
গত বছরের মতো ডেঙ্গুর সংক্রমণের ভয়াবহতা ঠেকাতে চলতি বছরের শুরুতেই পরিচ্ছন্নতা ও প্রচার প্রচারণা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটি। কমিটির সিদ্ধান্ত আমলে নিয়ে এরই মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও প্রচারণা চলানোর নির্দেশনা দেওয়া শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
দেশের সব মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২২ ফেব্রুয়ারি সব কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্দেশনাও জারি করেছে।
অন্যদিকে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দিতে কমিটির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগকে চিঠি পাঠিয়েছে। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙিনা পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, কমিটির নির্দেশনাগুলো যাতে মাউশির অধীনস্থ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।