সরকারি চাকরিতে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত ন্যায্যতার ভিত্তিতে’ ন্যূনতম পর্যায়ে এনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদে অধিবেশন ডেকে আইন করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া, শাহবাগ থানায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে গুলিস্তান আন্ডারপাসের সামনে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার পর সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান আন্দোলনকারীরা।
এ সময় তারা বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির সামরিক প্রেস সচিব বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছি।
আমরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছি, সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সব প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধুমাত্র অনগ্রসরদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রেখে সংবিধান অনুসারে সংসদে আইন প্রণয়ন করতে হবে। আমরা আশা করি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আইন প্রণয়ন করতে জরুরি পদক্ষেপ নেবেন।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এক দফা দাবিতে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছি। আমরা এই দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই। আজ আমাদের থামানো যায়নি। আমরা চাচ্ছি না কঠোর কর্মসূচিতে যেতে। আমরা চাই দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর আমরা সে অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবো। আর মামলা সরিয়ে নিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বাড়ানো হলো। না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সবাইকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবো।
ব্রিফিং শেষে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে গুলিস্তান মোড় থেকে আন্দোলনকারীরা যার যার গন্তব্যে ফিরে যান। তবে যান চলাচল তখনও স্বাভাবিক হয়নি ওই এলাকায়। শত শত যানবাহন আটকে রয়েছে বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ সংলগ্ন রাস্তাগুলোয়।