সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে ২০৮ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পাননি, তাদের মধ্য থেকে নন-ক্যাডারে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পদায়ন করা কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন, এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে নন-ক্যাডার পদে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ করা প্রার্থীদেরকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণবিহীন) নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণি হিসেবে বেতন স্কেল- ২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-১২ এ উল্লিখিত উপজেলা-থানা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হলো।
নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, চাকরিতে যোগদানের পর ২ বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। শিক্ষানবিশকালে অযোগ্য বিবেচিত হলে কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাদেরকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে। শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনক বিবেচিত হলে বিধি মোতাবেক চাকরিতে স্থায়ী করা হবে। চাকরিতে তাদের জ্যেষ্ঠতা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সুপারিশকৃত মেধা তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে অথবা বিবাহের অঙ্গীকারবদ্ধ হলে এ নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে। সরকারের প্রচলিত বিধি-বিধান, আদেশ এবং সরকারের ভবিষ্যতে প্রণীতব্য বিধি-বিধান বা আদেশ দ্বারা তার চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে। এ চাকরিতে যোগদানের জন্য তিনি কোনো ভ্রমণ ভাতা-দৈনিক ভাতা প্রাপ্য হবেন না। প্রশিক্ষণবিহীন প্রার্থীদের নিয়োগ আদেশ প্রাপ্তির পরবর্তী ৪ বছরের মধ্যে ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণ (বিটিপিটি)’ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার সরবরাহকৃত যেকোনো তথ্য ও সনদপত্র মিথ্যা-ভুয়া ও ত্রুটিপূর্ণ হলে নিয়োগ আদেশ বাতিল করা যাবে এবং প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী তার বা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না, করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পদায়ন করা কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় নিয়োগ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
এ ছাড়াও প্রত্যেক প্রার্থী সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করবেন। উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার যোগদানপত্র গ্রহণ করে একটি প্রত্যয়নপত্র দেবেন। বর্ণিত প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করে তিনি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে যোগদান করবেন।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিসার বরাবর যোগদানের তারিখই শিক্ষকের চাকরিতে যোগদানের তারিখ হিসেবে গণ্য হবে। নিয়োগ করা শিক্ষকের বেতন-ভাতাদি কোড ১২৪০২০৯০০০০০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খাত থেকে মিটানো হবে।
মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ করা উপজেলা বা থানাভিত্তিক প্রধান শিক্ষক শূন্য পদে জরুরিভিত্তিতে পদায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।