চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গতবার এই হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪। এ বছর পাসের হার কমেছে দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ফল প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
এছাড়া, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
গত ৩০ জুন এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। এছাড়া, ব্যবহারিক পরীক্ষাও বাকি। একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয় যে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদিও তা হয়নি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন বিভিন্ন এলাকার থানায় হামলা হয়েছিল। এতে থানায় রাখা প্রশ্নপত্রের ট্রাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় ১১ আগস্টের পরিবর্তে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনে নামেন পরীক্ষার্থীদের অনেকে। তাদের দাবি ছিল, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকার বিষয়টি তাদের মানসিক চাপে ফেলেছে। তাই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে হবে। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।
এবার এইচএসসি বা সমমানের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। সাত বিষয়ে নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হলেও ১৩ বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ ১৩ বিষয়ে ‘অটো পাস’ দেওয়া হয়েছে। তারপরও ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে এবার অনুপস্থিত ছিলেন ৯৬ হাজার ৯৯৭ জন। বহিষ্কার হন ২৯৭ জন।