৪৩তম বিসিএসে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার থেকে বঞ্চিত প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ এবং নন-ক্যাডার ফলাফল বাতিলসহ তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যের শিকার ৪৩তম বিসিএস নন ক্যাডার প্রার্থীরা। তারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠিন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর পিএসসি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি দেন বঞ্চিত প্রার্থীরা।
এ সময় তারা অভিযোগ করেন, ৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে মাত্র ৬৪২ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী বিসিএসগুলোর তুলনায় অত্যন্ত কম। উদাহরণস্বরূপ, ৪০তম ও ৪১তম বিসিএসে যথাক্রমে ৩৬৫৭ এবং ৩১৬৪ জনকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করা হয়েছিল। এছাড়া ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার ফলাফল প্রকাশে প্রক্রিয়াগত অনিয়ম ও বৈষম্যের অভিযোগও উঠে আসে।
বক্তারা এই বৈষম্যকে "অন্যায় ও অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার ফলাফল বিধিমালার পরিপন্থী এবং বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন করে প্রকাশ করা হয়েছে। তারা বলেন, পিএসসি হাইকোর্টের নির্দেশনা সত্ত্বেও নন-ক্যাডার প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেনি বরং হাইকোর্টের রায়ের ওপর আপিল করে স্থগিতাদেশ নিয়েছে, যা ন্যায্য দাবিকে অবজ্ঞা করার শামিল।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি উল্লেখ করে আন্দোলনকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চললেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা নবগঠিত কর্মকমিশনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান, যাতে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
তাদের দাবি-৪৩তম বিসিএসে ভাইভায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ এবং নন-ক্যাডার ফলাফল বাতিল। ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধি বাতিল করে পূর্ববর্তী ২০১০ এবং ২০১৪ সালের সংশোধিত বিধি অনুযায়ী সুপারিশ প্রদান। নতুনভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অধিযাচন পাঠিয়ে অধিকসংখ্যক পদে নন-ক্যাডার প্রার্থীদের সুপারিশ।