পুরান ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৫ সালের প্রথম শ্রেণি ও নার্সারিতে ভর্তির লটারি স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) কলেজের পৃথক দুই বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত রোববার বিকেলে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলার প্রতিবাদে সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায় প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, হামলায় সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকদের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। ক্যান্টিনেও হামলা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সংক্রান্ত সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের মর্নিং শিফট, ডে শিফট ও কলেজ শাখার সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মেরামতের কাজ অত্যন্ত জরুরি এবং সময়সাপেক্ষ। সবকিছু অনুকূলে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম যথারীতি শুরু হবে।
প্রথম শ্রেণি ও নার্সারির লটারি স্থগিত সংক্রান্ত সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৫ সালের প্রথম শ্রেণিতে (বাংলা ভার্সন) ও নার্সারি (ইংরেজি ভার্সন) ভর্তির জন্য নির্ধারিত লটারি ও ভর্তির তারিখ বিশেষ কারণবশত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে।
এর আগে রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জেরে গত রোববার পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর গতকাল সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ঘটে। এ সময় কলেজটির বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম নিয়ে যান হামলাকারী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শত শত শিক্ষার্থী গিয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালান। এ সময় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।