মডেল-অভিনেত্রী মিশৌরি রশীদ। জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার ছোট বোন তিনি। ২০১৬ সালে মুঠোফোন কোম্পানি রবি’র একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হন। এটি নির্মাণ করেন গুণী নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে এই নির্মাতার সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। বিজ্ঞাপনচিত্রের পাশাপাশি মিশৌরি একাধিক একক নাটকে অভিনয় করেছেন।
গিয়াস উদ্দিন সেলিমের হাত ধরে এবার বড় পর্দায় অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে তার। অভিনয়ে তার উত্থান, ভালোলাগা, প্রত্যাশা জানতে রাইজিংবিডির সহ-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শান্ত কথা বলেছেন মিশৌরির সঙ্গে। কথোপকথনটি তুলে ধরা হলো।
রাইজিংবিডি: বিরতি ভেঙে অভিনয়ে ফিরলেন…
মিশৌরি: হ্যাঁ, একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করলাম। কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন বন্ধুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কাহিনি। এখানে লাভ স্টোরিও আছে। কিন্তু গল্পটিকে শুধু লাভ স্টোরি বলব না। ফ্রেন্ডশিপ অ্যান্ড লাভ দুটোই আছে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। শুটিংও শেষ।
রাইজিংবিডি: শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
মিশৌরি: বহুদিন পর কাজটি করেছি। তাও আবার সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে। খুব ভালো লেগেছে, নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। শুটিং সেটে অনেক মজার মজার ঘটনা ঘটেছে। শুটিংয়ের প্রয়োজনে ভিন্ন ঘরানার কাজ করতে হয়েছে। এসব কাজ করে উপলদ্ধি করতে পেরেছি, একজন অভিনয়শিল্পীকে কতটা কষ্ট করতে হয়।
রাইজিংবিডি: মাঝে অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন কেন?
মিশৌরি: সুবর্ণা ম্যামের সঙ্গে তিন-চার বছর আগে একটি নাটকে কাজ করেছিলাম। এরপর বছরখানেক আগে নুহাশ হুমায়ূন ভাইয়ের ‘পিৎজা ভাই’ নাটকে অভিনয় করেছিলাম। তারপর এক বছর আর কাজ করা হয়নি। অভিনয়ে থাকতে পারিনি মূলত পড়াশোনার চাপের কারণে। এতদিন পড়াশোনার চাপটা বেশি ছিল।
রাইজিংবিডি: তার মানে দর্শক আপনাকে এখন থেকে অভিনয়ে নিয়মিত পাবেন?
মিশৌরি: হ্যাঁ, এখন থেকে নিয়মিত অভিনয় করব। কারণ পড়াশোনার চাপ অনেকটা কমেছে। আর মাত্র একটা সেমিস্টার বাকি আছে।
রাইজিংবিডি: অভিনয়ে কী বড় বোনকে (মিথিলা) ছাড়িয়ে যেতে চান?
মিশৌরি: আসলে ছাড়িয়ে যাওয়ার কিছু নেই। তবে হ্যাঁ, ওর মতো কাজ করার ইচ্ছা আছে। জানি না সেটা পারব কিনা।
রাইজিংবিডি: অভিনয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা জানতে চাই
মিশৌরি: অভিনয় আমার পছন্দ। সেই ভালোলাগা থেকেই অভিনয়ে আসা। অভিনয়টা করে যেতে চাই। আমার ইচ্ছা, অভিনয়ে ক্যারিয়ার দাঁড় করানো। জানি না ভবিষ্যতে কী হবে!
রাইজিংবিডি: কার সঙ্গে কাজ করতে বেশি ভালো লাগে?
মিশৌরি: এভাবে বলাটা আমার জন্য খুব কঠিন। একেকজনের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একেকরকম সম্পর্ক তৈরি হয়। ওই অর্থে কাজ করতে সবার সঙ্গেই ভালো লাগে। কারণ সবাই তো একরকম না। তবে যার সঙ্গে বেশি কাজ করেছি, তার সঙ্গে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
রাইজিংবিডি: সৃজিত মুখার্জিকে (মিথিলার স্বামী) কী বলে ডাকেন?
মিশৌরি: আসলে আমি ওকে ‘সৃজিত’ বলেই ডাকি (হাসি)।
রাইজিংবিডি: দাদা, ভাই কিংবা দুলাভাই কিছুই বলেন না!
মিশৌরি: না (হাসি)।
রাইজিংবিডি: সৃজিত মুখার্জি আপনাকে কী বলে ডাকেন?
মিশৌরি: ও আমার নাম ধরে ডাকে।
রাইজিংবিডি: সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে আপনার মজার কোনো ঘটনা শুনতে চাই।
মিশৌরি: তেমন কিছু নেই। কিন্তু ও সবসময় মজার ঘটনা বলে। ও আমার জন্য ছেলে খুঁজছে। আমাকে বিয়ে দেবে। আমার বিয়েটা নাকি ওই দেবে। এই বিয়ে নিয়েই আমাদের মাঝে খুনসুটি চলতে থাকে।
রাইজিংবিডি: সৃজিত মুখার্জি সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দিলে আভিনয় করবেন?
মিশৌরি: যদি সুযোগ হয় অবশ্যই করব।
রাইজিংবিডি: সৃজিত মুখার্জি নির্মিত কোন চলচ্চিত্র আপনার বেশি পছন্দ?
মিশৌরি: ওর সব কাজই অনেক ভালো। তার মধ্যে ‘এক যে ছিল রাজা’, ‘উমা’ আমার খুব ভালো লেগেছে!
রাইজিংবিডি: অভিনয় নিয়ে বোন-দুলাভাই কী আপনাকে কোনো পরামর্শ দেন?
মিশৌরি: সৃজিতের সঙ্গে এ বিষয়ে তেমন কথা হয় না। তবে মিথিলা আপুর সাথে সবসময় কথা হয়। আমার কাজ দেখার পর যদি কোনো পরামর্শ থাকে তবে আমাকে বলে- এটা করা যেত বা এমন হতে পারত। আমার দ্বিধা থাকলে আমিও মিথিলা আপুর সঙ্গে শেয়ার করি। ঢাকা/শান্ত/তারা