বিনোদন

প্রেমের অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছেন রিয়া

বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। ভারতীয় মিডিয়ায় চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত মুখ তিনি।

অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে রিয়ার প্রেমের গুঞ্জন অনেকদিন থেকেই বলিপাড়ায় উড়ছিল। তবে শুরুতে এই কথা স্বীকার করেননি তারা। গত ১৪ জুন সুশান্তের ফ্ল্যাট থেকে এই অভিনেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে ‘টক অব দ্য মিডিয়া’ হয়ে ওঠেন রিয়া।

মিডিয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিয়াকে নিয়ে নানা ট্রল হতে থাকে। নির্মাতা মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়। অনেকেই এই অভিনেতার মৃত্যুর জন্য রিয়াকে দায়ি করেন। পরবর্তী সময়ে ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে সুশান্তের সঙ্গে তার প্রেমের কথা স্বীকার করেন ‘জালেবি’ অভিনেত্রী। এরপরই শুরু হয় প্রেমের জন্য তার অগ্নিপরীক্ষা।

সুশান্তের আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করে মুম্বাই পুলিশ। এছাড়া পাটনার রাজিব নগর থানায় রিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন সুশান্তের বাবা। পরে বিহার পুলিশ এটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ইডি) ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খতিয়ে দেখতে শুরু করে। পরে এই মামলার ভার গ্রহণ করে ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।

এরপর সুশান্তের মাদক সেবনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। গত ২৬ আগস্ট রিয়া ও তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নারকোটিক্স ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইন, ১৯৮৫ অনুযায়ী ২০, ২২, ২৭, ২৯ ধারায় দিল্লিতে মামলা দায়ের হয়।

টানা তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর ৮ সেপ্টেম্বর রিয়াকে গ্রেপ্তার করে এনসিবি। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবহার ও সংগ্রহের বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়। এনসিবির রিমান্ড কপিতে উল্লেখ করা হয়, সুশান্তকে মাদক সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেছেন রিয়া। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

২৯ সেপ্টেম্বর বোম্বে উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন রিয়া। ৭ অক্টোবর তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন এই অভিনেত্রী।