গত ২৬ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে চলে গেছেন বরেণ্য অভিনেতা আব্দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) এ অভিনেতার জন্মবার্ষিকী। বেঁচে থাকলে ৭০ বছরে পা দিতেন। বিশেষ এই দিনে অঝোরে কাঁদল আব্দুল কাদেরের নাতনি, শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা।
সিমরিন লুবাবা শুটিংয়ের কাজে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছে। সেখান থেকে লাইভে আসে এই শিশুশিল্পী। দাদাকে উদ্দেশ্য করে সিমরিন লুবাবা বলে—‘জানি না, দূর দেশে বসে তুমি আমাদের দেখতে পারো কিনা। আল্লাহ যেন তোমাকে ভালো রাখেন। সবসময় এটা তোমার জন্য দোয়া করি। তোমার জন্মদিনে তোমাকে অনেক মনে পড়ছে দাদু। তুমি বেঁচে থাকলে আজ কত মজাই না করতাম! তুমি সবসময় আমার হৃদয়ে আছো। আমার জানের দাদু।’
এ সময় কাঁদত কাঁদতে সবার কাছে দোয়া চেয়ে সিমরিন বলে, ‘আমার দাদু যেন সবসময় আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকেন। দাদুর জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
আব্দুল কাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের চেন্নাইয়ের ক্রিস্টিয়ান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এয়ারপোর্ট থেকে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তার কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। তারপর থেকে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন আব্দুল কাদের। গত ২৬ ডিসেম্বর সকালে মারা যান তিনি।
মঞ্চ থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রে নাম লেখান আব্দুল কাদের। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে যান তিনি। অভিনয় ক্যারিয়ারে কয়েকশ’ টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। বেশিরভাগ হাস্যরসাত্মক চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।
দাদার অনুপ্রেরণায়ই খুব অল্প বয়সে লাইট-ক্যামেরার সামনে দাঁড়ায় লুবাবা। বিজ্ঞাপনে কাজ করে শিশুশিল্পী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। সম্প্রতি অনন্ত জলিলের ‘নেত্রী : দ্য লিডার’ সিনেমায় নাম লিখিয়েছে। বর্তমানে ভারতে এ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে লুবাবা।