অভিনেত্রী সামান্থা আক্কিনেনি। তেলেগু ও তামিল ভাষার সিনেমাতেই বেশি অভিনয় করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেতা নাগা চৈতন্যকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের চার বছর পূর্তির আগেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। শনিবার (২ অকেটাবর) আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়েছেন জনপ্রিয় এই জুটি।
নাগার আগে তামিল সিনেমার ‘চকলেট বয়’ সিদ্ধার্থের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সামান্থা। তবে শেষ পর্যন্ত তা টেকেনি।
এদিকে নাগা ও সামান্থার ডিভোর্সের পর মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন সিদ্ধার্থ। তিনি লিখেছেন, “আমার স্কুল শিক্ষকের কাছে প্রথম শিক্ষা পেয়েছিলাম, ‘প্রতারকরা জীবনে উন্নতি করতে পারে না।’ আপনার শিক্ষা কি?” নেটিজেনদের ধারণা, সামান্থার উদ্দেশ্যেই টুইটটি করেছেন সিদ্ধার্থ।
তেলেগু ভাষার ‘জবরদস্ত’ সিনেমার সেটে সিদ্ধার্থ-সামান্থার পরিচয় হয়। প্রায় আড়াই বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন তারা। একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে নাচের পারফরম্যান্সের পর সেটি সামান্থাকে উৎসর্গ করেছিলেন। এই জুটি বিয়ের পরিকল্পনাও করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাদের মনোমালিন্য শুরু হয়। সম্পর্কেও চিড় ধরে।
জানা যায়, সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে সামান্থাকে সতর্ক করেন তার বন্ধু। এছাড়া কন্নড় সিনেমার অভিনেত্রী দীপা সানিধীর সঙ্গে এই অভিনেতার সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিলেন সামান্থা।
দীপার সঙ্গে ‘এনাকুল ওরুবাম’ সিনেমায় অভিনয় করেন সিদ্ধার্থ। একটি সূত্র ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সিদ্ধার্থ ও দীপা অনেক সময় ধরে ঘোরাঘুরি করতেন। এনাকুল ওরুবাম সিনেমায় এই অভিনেত্রীকে নেওয়ার পেছনেও তার অবদান রয়েছে। তাদের ঘনিষ্ঠতার কারণেই সামান্থার সঙ্গে মনোমালিন্য হয়।’
সামান্থার এক বন্ধু বলেন, ‘সুদর্শন সিদ্ধার্থ সবসময় আকর্ষণীয় মেয়েদের প্রতি নজর রাখতেন। তার এই আচরণ সামান্থাকে অনেক কষ্ট দিতো।’ অন্যদিকে, গুঞ্জন শোনা যায়, সামান্থার বন্ধুসুলভ আচরণ ও গ্ল্যামার পোশাক পছন্দ করতেন না সিদ্ধার্থ। সবকিছু মিলিয়ে তাদের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়।