রূপবতী আফরিনকে অনেক তপস্যার পর বিয়ে করেন মামুন। বিয়ের কয়েক মাস পরই স্ত্রীকে সন্দেহ করতে শুরু করেন। শুরু হয় দাম্পত্য কলহ! রাতে স্ত্রীর পা রশি দিয়ে বেঁধে ঘুমান মামুন। ঘুম থেকে ওঠে তার পায়ে রশি দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আফরিন। এভাবেই একের পর এক সন্দেহ ভুল প্রমাণিত হয়। মামুন তার স্ত্রীকে স্বাভাবিকভাবে বিশ্বাসই করতে পারেন না। মামুনের এমন আচরণে বিরক্ত হয়ে যান আফরিন।
খালাতো ভাইকেও বাসা থেকে বের করে দেন মামুন। এতে আফরিন প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ হয়। আফরিন ও মামুনের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়! কিন্তু তার বান্ধবী মামুনকে একজন মনোবিদ দেখানোর পরামর্শ দেয়। মামুনকে ডাক্তার দেখানোর পর বোঝা যায় মামুনের মস্তিষ্কে একটি সমস্যা আছে, তা হলো— কোনো নেগেটিভ চিন্তা কিছুতেই ভুলতে পারেন না! কারণ মামুনের বয়স যখন ১০ বছর; তখন মামুনের মা তাকে ফেলে খালাতো ভাইকে বিয়ে করে। ডাক্তার এ তথ্য উদ্ধার করে। তারপর গল্প মোড় নেয় ভিন্ন দিকে।
এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্ম ‘মি. মেন্টালম্যান’। এতে মামুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ। আফরিন চরিত্রে দেখা যাবে মৌসুমী হামিদকে। মিজানুর রহমান বেলাল রচিত নাটকটি পরিচালনা করেছেন জহির খান।
অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আব্দুল্লাহ রানা, মুকিব জাকারিয়া, নূর মোহাম্মদ, রকি খান, নয়ন, নীহারিকা মৌ, আহমেদ জিসান, হামিদুল ইসলাম, এ্যানি। চিত্রগ্রাহক হিসেবে ছিলেন আরমান হোসাইন। খুব শিগগির বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে টেলিফিল্মটি প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।