বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। দিল্লি কোর্টে মানহানির এই মামলা করেন তিনি। এ মামলায় জ্যাকলিনকে এক নাম্বার আসামী করা হয়েছে। তা ছাড়াও স্থানীয় কয়েকটি মিডিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে যে, উল্লেখিত প্রতিদ্বন্দ্বিরা অভিযোগকারীর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে ন্যায্যভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পেরে তার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এতে তার কাজের ক্ষতি হচ্ছে। অভিযোগকারী মানহানিকর মন্তব্যের জন্য ক্ষুব্ধ। তার (জ্যাকলিন) মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযোগ।
আর্থিক-সামাজিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন নোরা ফাতেহি। তা উল্লেখ করে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এটা পুনর্ব্যক্ত করা উচিত যে, এই মানহানিকর মন্তব্যগুলো অভিযুক্ত নং ১ দ্বারা প্রাথমিকভাবে করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সম্প্রচারিত এবং প্রচারিত হয়। যাদের সকলেই একে-অপরের সঙ্গে জড়িত এবং অভিযুক্ত নং ১-এর এটা একটা ষড়যন্ত্র ছিল। এজন্য অভিযোগকারীর আর্থিক, সামাজিক-ব্যক্তিগত ক্ষতিসাধক হয়েছে।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটে জ্যাকলিনের নাম দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা একাধিকবার তাকে তলব করে। জানা যায়, সুকেশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বেশ কিছু অবৈধ সম্পত্তি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন জ্যাকলিন; এতেই ফেঁসে যান তিনি।
তারপর জ্যাকলিন দাবি করেন— শুধু তিনি নন, অনেক তারকাই সুকেশের কাছ থেকে উপহার নিয়েছেন। তাদের মধ্যে নোরা ফতেহিও রয়েছেন। তা হলে কেন শুধু তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে? এসব তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর নোরা ফাতেহিকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। যদিও নোরা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে উপহার পাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।