বিনোদন

ফারুকীর সিনেমায় চঞ্চল, সঙ্গে জেফার

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মাণ করছেন ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’। এই সিনেমায় অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আরও আছেন জেফার, সামিনা হোসেন প্রেমাসহ আরও অনেকে। 

এ প্রসঙ্গে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, আমার প্রিয় একটা কাজ হচ্ছে মানুষের মনের ভেতর ছিপ ফেলে দেখা কী ধরা পড়ে? ছোট-বড়, তুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সবই আমাকে নাড়া দেয়। মনোগামীতে অনেক দিন পরে মেল-ফিমেল রিলেশনশিপের কিছু দিক নিয়ে এই রকম ছিপ ফেলার সুযোগ পেয়েছি। 

পরিচালক আরও বলেন, ‘ব্যাচেলর’ সিনেমায় ব্যাচেলর জীবনের কিছু দিক কোনো রকম রাখঢাক ছাড়া দেখাতে পেরেছিলাম। এখানে বিবাহিত এবং প্রবাহিত জীবনের কিছু দিক কোনো সুইট কোটিং ছাড়া দেখানোর সুযোগ পেয়েছি। 

সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনেতাদের বিষয়ে ফারুকী বলেন, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা বহু পুরনো। এখানেও একই রকম অপ্রতিরোধ্য তিনি। এই ধরনের চরিত্র কম করার ফলে একটা দারুণ ফ্রেশনেস উনি নিয়ে এসেছেন তার অভিনয়ে। জেফার রহমানকে আমরা গায়ক হিসেবে চিনি। এখানে তাকে অচেনাই লাগবে। কিন্তু এই চরিত্রে তাকে পাওয়ার ফলে আমার গল্পটা প্রাণবন্ত হয়েছে। 

ওটিটিতে চঞ্চল চৌধুরীকে দর্শক নানা চরিত্রে নানা লুকে দেখেছেন। তবে ‘মনোগামী’তে দেখা মিলবে অন্য এক চঞ্চল চৌধুরীর। নিজের চরিত্র ও কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ফারুকী ভাইয়ের সাথে আমার ২০০৫ থেকে কাজের শুরু, এখন ২০২৩। আমার ক্যরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিল সেই কাজটি। আর এবার মনোগামী সিনেমার গল্পটাই একদম আলাদা। সিনেমায় কিছু মনস্তাত্ত্বিক দিক আছে যা দর্শককে ভাবাবে। আর এখানে আমার চরিত্রের লুক, গেট-আপ একদম ভিন্ন থাকবে। 

এই সিনেমার একটি চমক হচ্ছে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেফার। ভিন্ন ধারার গান এবং ফ্যাশন স্টেটমেন্টের জন্য সবার নজর কেড়েছেন তিনি। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তাকে অভিনয় করতে দেখা যাবে। 

গত ৩ আগস্ট এক জমকালো অনুষ্ঠানে চরকি ঘোষণা দেয় ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ নামে একটি প্রজেক্টের। যেখানে ১২ জন জনপ্রিয় নির্মাতার ১২টি ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানানো হবে। এর একটি ‘মনোগামী’। পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।