বিনোদন

বিশেষ দিনে কৃতজ্ঞতা জানালেন শাবনূর

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। প্রায় দুই দশক ঢালিউডে রাজত্ব করেছেন। অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে।

‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে শাবনূরের। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন সাব্বির। এটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত পরিচালক এহতেশাম। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর মুক্তি পায় এটি। আজ এ সিনেমা মুক্তির ৩ দশক পূর্ণ হলো।

শাবনূর বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সেখানে থেকে জীবনের উজ্জ্বলতম অধ্যায়ের স্মৃতিচারণা করেছেন। বিশেষ দিনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা।

শাবনূর বলেন, ‘‘চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অনেক গুণী পরিচালকের সিনেমায় কাজ করার সুযোগ হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’(২০০৫) সিনেমাটি আমাকে এনে দিয়েছিলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সম্মান। তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে ১০ বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছি। এছাড়াও ৬ বার বাচসাস পুরস্কার লাভ করি। প্রবল দর্শক চাহিদার জন্য প্রযোজক-পরিচালকরা আমাকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণে অত্যন্ত আগ্রহী হওয়ায় আমার পক্ষে ১৫৮টি সিনেমার বিশাল মাইলফলক ছোঁয়া সম্ভব হয়েছে।’’

নিজের অভিনীত দর্শকপ্রিয়, সফল কিছু সিনেমার নামও উল্লেখ করেছেন শাবনূর। এ নায়িকার মতে, প্রতিটি সিনেমাই তার ভীষণ প্রিয়। সহশিল্পীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রয়াত সালমান শাহর সঙ্গে আমার জুটি ছিল সবচেয়ে বেশি দর্শকপ্রিয়। সালমানের অকাল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মাত্র চার বছরে আমি ও সালমান সর্বাধিক ১৪টি দর্শক নন্দিত ও ব্যবসাসফল সিনেমায় জুটি বেঁধে কাজ করেছিলাম। আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে আরো যেসব সহশিল্পীর অবদান অনেক বেশি, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- প্রয়াত মান্না ভাই, ওমর সানী, বাপ্পারাজ, আমিন খান, অমিত হাসান, রিয়াজ আহমেদ, ফেরদৌস আহমেদ, শাকিল খান ও শাকিব খান।’

এছাড়া প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী, ক্যামেরাম্যান, সিনেমার সঙ্গে জড়িত সব কলাকুশলী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শাবনূর। আর দর্শকদের উদ্দেশ্যে শাবনূর বলেন, ‘দর্শক ও ভক্তদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি আজকের শাবনূর। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হওয়ার পর থেকে সর্বক্ষণ উপলব্ধি করছি, আমাকে নিয়ে তাদের ভালোবাসা আজও বদলায়নি, বরং বেড়েই চলেছে। আমার প্রতি আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ভবিষ্যতেও আশা করি অব্যাহত থাকবে।’