বিবাহ-বর্হিভূত বা পরকীয়ার কারণে অনেক সংসার ভেঙে যাচ্ছে! যদিও সমাজের মানুষই এ সম্পর্ককে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখেন না। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার জেরে ‘পরকীয়া’ বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে দুই বাংলায়।
‘সম্পর্কের ইস্যু’ নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। কথার শুরুতে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বিয়েতে বিশ্বাসী। একটা সুস্থ-সুন্দর বিয়ে মানুষকে সমৃদ্ধ করে। একটা সম্পর্কে যদি ভালোবাসা ও সম্মান না থাকে, বিশেষ করে পরস্পরের প্রতি সম্মান না থাকে, তবে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’
ইদানীং পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি প্রায়ই আলোচনায় আসছে। এটা কেন বা এটাকে কীভাবে আটকানো যায়? এ প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে অপরাজিতা আঢ্য বলেন, ‘পরকীয়া কেন আটকাতে হবে?’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে অপরাজিতা আঢ্য বলেন, ‘পরকীয়া তো সুস্থতার লক্ষণ। এটা চিরাচরিত, সারা জীবন ছিল; রামায়ণ-মহাভারতের সময়েও ছিল। এটা তো জীবনের স্বাভাবিক ধর্ম। যে কারো কাউকে ভালো লাগতে পারে। আমি কারো সঙ্গে ঘর করি বলে জীবনে অন্য কাউকে ভালোবাসব না, কোনো ভালো জিনিস দেখব না, এমনটা তো হতে পারে না।’
‘যার যত অপশন, তার জীবনে তত মানুষ আসতেই পারে। এটা কে কীভাবে ব্যালেন্স করবে সেটা সেই মানুষটার ব্যাপার। কিন্তু এতে তো কোনো অন্যায় নেই।’ বলেন অপরাজিতা আঢ্য।
১৯৯৮ সালে ‘শিমুল পারুল’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় নাম লেখান অপরাজিতা। অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো—‘চুপ কথা’, ‘গয়নার বাক্স’, ‘ওপেনটি বায়োস্কোপ’, ‘বেলা শেষে’, ‘প্রাক্তন’, ‘সমান্তরাল’ প্রভৃতি।