কিছুদিন আগে গুঞ্জন চাউর হয়, প্রেম করছেন সংগীতশিল্পী কৌশিক হোসেন তাপস ও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। এই গুঞ্জনের সূত্রপাত, কৌশিক হোসেন তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নীর ফেসবুক থেকে। এরপরই ফাঁস হয় ফারজানা মুন্নী ও অপু বিশ্বাসের কল রেকর্ড। যদিও কল রেকর্ডে শুধু মুন্নীর কণ্ঠ শোনা যায়।
কয়েকদিন আগে দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন ফ্যাশন ডিজাইনার ফারজানা মুন্নী। সেখানে তিনি জানান, অপু বিশ্বাস উদ্দেশ্যপ্রোণিতভাবে কল রেকর্ড ফাঁস করেছেন। মুন্নীর এই মন্তব্যের পর গত ১৭ ডিসেম্বর ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দেন অপু বিশ্বাস। এরপর বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডিবি পর্যন্ত গড়ায়। সেই সূত্রে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে অপু বিশ্বাস ও কৌশিক হোসেন তাপসকে নিয়ে বৈঠকে বসেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ।
ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন অপু বিশ্বাস ও কৌশিক হোসেন তাপস। অপু বিশ্বাস বলেন, ‘তাপস ভাইয়ের সঙ্গে এই প্রথম দেখা, তবে এমন জায়গায় দেখা হবে, সেটা আশা করিনি। যাইহোক, চলচ্চিত্রের স্বার্থে পারিবারিক বিষয়গুলো বারবার সামনে না আনাই ভালো। আমরা সবাই মানুষ, আর মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমার ফেসবুক পেজে যে ভিডিওটি দিয়েছিলাম, তাপস ভাই ও মুন্নি ভাবির প্রতি সম্মানের জায়গা থেকে আমি সেটা আজই ডিলিট করে দেব।’
অপু বিশ্বাসের নামে কোনো অভিযোগ করেননি তাপস। তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কথা প্রসঙ্গে হারুন ভাইয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তিনিই সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর তার কথা অনুযায়ী, আমি ব্যক্তি তাপস হিসেবে একটি অভিযোগ দেই। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, অপু বিশ্বাসের নামে কোনো অভিযোগ করিনি। আমার অভিযোগ ছিল, ওই কল রেকর্ড কীভাবে ফাঁস হয়েছে, কেন ফাঁস হলো অথবা পরবর্তীতে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত কল রেকর্ড ফাঁস যাতে না হয়, সে বিষয়ে।’
সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে আলোচনার কথা জানিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে আলোচনা করেছি। হারুন ভাই খুব সুন্দরভাবে আমাদেরকে আইনের ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমি অথবা অপু কেউই কোনো আইনি প্রতিযোগিতা করতে আসিনি। আমাদের কাজ হলো আপনাদের বিনোদন দেওয়া।’