ভারতীয় সিনেমার অভিনেত্রী মীরা চোপড়া। তার আরেক পরিচয় তিনি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও পরিণীতি চোপড়ার চাচাতো বোন। ২০০৫ সালে রুপালি জগতে পা রাখলেও বোনদের মতো নজর কাড়তে পারেনি মীরা। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে কখনো দুই চাচাতো সাহার্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মীরা।
সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কানানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মীরা চোপড়া। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের মাঝে এতটা ঘনিষ্ঠতা ছিল না, যাতে দেখতে বন্ধুর মতো লাগে। কিন্তু আমি এটা বলতে পারি, যখন তিন-চারজন মেয়ে একসঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে আসে, তখন তারা পরস্পরকে সাহায্য করে। তবে আমার ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেনি। আমি কখনো তাদের কাছে সাহায্য চাইনি এবং তাদের কাছ থেকেও কখনো সাহায্য আসেনি। আমি এমন মেয়ে নই যে সাহায্য চাইব, সাহায্য লাগবে কিনা তারাও তা জিজ্ঞাসা করেনি।’
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার চেয়ে এক বছরের ছোট ৪০ বছর বয়সী মীরা চোপড়া। আর পরিণীতি মীরার চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট। তাদের বয়স যখন কম ছিল, তখন তারা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছেন। এসব তথ্য উল্লেখ করে মীরা চোপড়া বলেন, ‘যখন পরিবার কথা বলে না, তখন আমি সীমা অতিক্রম করতে চাই না, এতে আমার পরিবার কষ্ট পাবে। পরিণীতির সঙ্গে পরিবারের কোনো সমস্যা ছিল না। প্রিয়াঙ্কার পরিবারের সঙ্গে আমার খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। প্রিয়াঙ্কা সবসময় খুবই উদার মনে মানুষ। কিন্তু বোনদের মধ্যে যে বন্ধন থাকে তা অনুপস্থিত; এটা আমার পক্ষ থেকে শেষ হয়নি। আমি সবসময়ই এই ভালোবাসাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এরও তো প্রতিদান চাই।’
২০০৫ সালে তামিল ভাষার ‘আনবে আরুইরিয়ে’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন মীরা চোপড়া। এরপর তেলেগু, কন্নড় ভাষার সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন মীরা। ২০১৪ সালে ‘গ্যাং অব গোস্টস’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন মীরা। তারপর বেশ কটি হিন্দি সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।