বিনোদন

‘বলিউডের সিনেমার চেয়ে শাকিবের সিনেমার ভ্যালু বেশি’

বিদেশি সিনেমা আমদানির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন রাজধানীর মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। যদিও সেই সময়ে এর বিরোধিতা করে চলচ্চিত্র পরিবার। এ নিয়ে ২০১৭ সালে সেন্সর বোর্ডের সামনে লাঞ্ছিত করা হয় ইফতেখার উদ্দিন নওশাদকে। বর্তমানে ভিনদেশি সিনেমা আমদানিতে কোনো বাধা নেই। এখন বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে নিয়মিত মুক্তি পাচ্ছে হলিউডের সিনেমা। তবে এসব সিনেমা শুধু সিনেপ্লেক্সের জন্য লাভজনক বলে মত দিয়েছেন ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।

বলিউড সিনেমা আমদানির পক্ষে তার কণ্ঠ সোচ্চার থাকলেও এবার কিছুটা সুর বদলে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘হলিউডের সিনেমা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের দেশেও মুক্তি পাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। হলিউডের সিনেমার কারণে সিনেপ্লেক্স বেঁচে আছে। সিনেপ্লেক্স এখন সোনায় সোহাগা। তারা হলিউড-বলিউডের সিনেমা পাচ্ছে। প্রতি মাসে হলিউডের সিনেমা সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে। বিদেশি সিনেমা মু্ক্তির জন্য আমরা কথা বলেছি। এজন্য আমাকে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। সে সময় পেছন থেকে এগুলো পরিকল্পনা করে করিয়েছে। আমি সব জানি কে করিয়েছেন এবং কেন করালেন। এখন লাভবান হচ্ছে সিনেপ্লেক্স। সিনেপ্লেক্স কিন্তু মাঠে আসেনি। অথচ আমি একটাও ইন্ডিয়ান সিনেমা আনিনি।’

ভারতীয় সিনেমা আমদানি না করার কারণ ব্যাখ্যা করে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘আমি কেন ইন্ডিয়ান সিনেমা আনব? আমি কেন ৪০ লাখ টাকার ঝুঁকি নেব? আমি হলিউডের সিনেমা রিলিজ করেছি, আমার ৫ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। আমার কথা হলো হলিউডের সিনেমা আনলে হবে না। ভালো সিনেমা আনতে হবে, সেটা তুরস্কের সিনেমাও হতে পারে। অর্থাৎ যেকোনো দেশের ভালো সিনেমা আনতে হবে।’

বলিউডের সিনেমার চেয়ে শাকিব খানের সিনেমার ভ্যালু বেশি। তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ান সিনেমার চেয়ে শাকিবের সিনেমার ভ্যালু বেশি। বাংলাদেশের দর্শক শাকিবের সিনেমা বেশি দেখেন। ভারতীয় সিনেমা যেগুলো আসছে সেগুলো বাংলায় ডাবিং করে চালালে আরো বেশি টিকিট বিক্রি হতো। যেমন: ‘মিস লংকা’, ‘দূর দেশ’, ‘যেওনা সাথী’ বাংলায় ডাবিং করে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। অনেক দর্শক হিন্দি ভাষা বুঝেন না, তাই হলমুখী কম হচ্ছেন।’

কিছুদিন আগে বাংলাদেশে মুক্তি পায় ভারতীয় ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা। এ বিষয়ে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘‘অ্যানিমেল’ সিনেমাটি বাংলাদেশে ভালো যায়নি। সিনেমাটি আমি নেটফ্লিক্সেও দেখেছি। আমাদের হলে সিনেমাটির যে ভার্সন চালানো হয়েছে, সেটাতে ৪০ মিনিট ছিল না (মূল সিনেমা থেকে ৪০ মিনিট বাদ দিয়ে চালানো হয়েছে)। নেটফ্লিক্সে পুরো সিনেমা আছে। এই ৪০ মিনিটের একটা সিন আছে প্লেনের মধ্যে। বিয়ে করে সেখানে হানিমুনে যায়। এ দৃশ্যে শুধু বডি দেখায়। সিনেমা হলে জঘন্য লাগছিল। নেটফ্লিক্সে ভালো লেগেছে। সিনেমাটিতে ভালো মেসেজ আছে।’