নাট্যনির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ নাটক পরিচালনা করে আগেই প্রশংসা কুড়িয়েছেন। নির্মাণ ক্যারিয়ারে বেশকিছু জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি। নাটকের সফলতা কাজে লাগিয়ে এ পর্যন্ত অর্ধ ডজন সিনেমাও নির্মাণ করেছেন। এর মধ্যে একটি সিনেমা এখনো আলোর মুখ দেখে নি।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের নতুন সিনেমা ‘ওমর’। মুক্তি প্রতীক্ষিত এ সিনেমা দর্শক মহলে কতটা সাড়া ফেলবে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে।
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের সিনেমা মানেই আলোচনা-সমালোচনা। ‘ওমর’ সিনেমার পোস্টারে কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ ও চিত্রনায়ক মান্নাকে উৎসর্গ করা হয়েছে। যদিও সিনেমাটিতে তাদের সংশ্লিষ্টতা কী তা পরিষ্কার নয়। এ নিয়ে রাজের ভাষ্য— ‘সিনেমা দেখলেই দর্শক বুঝতে পারবেন, কেন তাদের উৎসর্গ করা হয়েছে।’ তবে এটাকে প্রচারণার কৌশল হিসেবেও দেখছেন কেউ কেউ।
রাজের ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা ‘প্রজাপতি’। নন্দিত নায়িকা মৌসুমীর বিপরীতে অভিনয় করেন ছোটপর্দার দুই অভিনেতা জাহিদ হাসান ও মোশাররফ করিম। সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শেষ করলেও দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল এর অন্যান্য কাজ। ২০১১ সালে এটি মুক্তি পায়। সেই সময়ে অন্যান্য সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে নি এটি।
সেই সময়ে ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। দর্শকপ্রিয়তায় ‘প্রজাপতি’ সিনেমার অবস্থান ছিল ষষ্ঠ। অন্য পাঁচটি সিনেমা হলো— মোহাম্মদ হোসেন জেমী পরিচালিত অভিনীত ‘কিং খান’, মোহাম্মদ হোসেনের ‘বস নাম্বার ওয়ান’, মনতাজুর রহমান আকবরের ‘ছোট্ট সংসার’, রাজু চৌধুরীর ‘প্রিয়া আমার জান’, নজরুল ইসলামের ‘বন্ধু তুমি আমার’। এসব সিনেমার তুলনায় দর্শক টানতে ব্যর্থ হয় রাজের ‘প্রজাপতি’।
২০১৪ সালে ‘তারকাটা’, ২০১৬ সালে ‘সম্রাট’, ২০১৮ সালে ‘যদি একদিন’ সিনেমা মুক্তি পায়। রাজ নির্মিত এসব সিনেমা প্রচারের দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও আশানুরূপ দর্শক টানতে পারে নি বলে জানান চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্মাতা বলেন, ‘‘রাজের সিনেমা সবসময়ই আলোচনায় থাকে। কিন্তু দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়। এখন রাজের ভরসা ‘ওমর’। দেখা যাক কি হয়।’’
‘ওমর’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, দর্শনা বণিক, নাসির উদ্দিন খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, এরফান মৃধা শিবলু, আবু হুরায়রা তানভীর ও নাফিস আহমেদ প্রমুখ।