বিনোদন

হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় কেমন আছেন

গত ছয় দিন ধরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার প্রবীণ অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। এখন অনেকটা ভালো আছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম।

বুধবার (১৯ জুন) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, নতুন করে শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি। জরুরি বিভাগে থাকলেও ভেন্টিলেশনে নেই সন্ধ্যা রায়। বুক ধড়ফড় করা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যাও আপাতত নিয়ন্ত্রণে। কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না; স্বাভাবিকভাবে খাওয়াদাওয়াও করছেন। অল্প অল্প কথাও বলছেন তিনি।

গত শনিবার বুকে অস্বস্তি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন সন্ধ্যা রায়। এরপর তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা করা হয়। রক্তপরীক্ষার পাশাপাশি আরো বেশ কিছু জরুরি পরীক্ষানিরীক্ষাও করানো হয়েছে তার।

পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপে জন্ম সন্ধ্যা রায়ের। অভিনেত্রীর জন্মের কিছুদিন পর বাংলাদেশ চলে আসেন তার পরিবার। ১৯৫৭ সালে আবারো ভারতে ফেরেন সন্ধ্যা রায়। তারপর নাম লেখান চলচ্চিত্রে। সন্ধ‌্যা রায় অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মামলার ফল’। তার অসামান্য অভিনয় কৌশল অনায়াসে যে কোনো সিনেমার চরিত্রের সঙ্গে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারতেন। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন সন্ধ্যা রায়।

সন্ধ‌্যা রায় অভিনীত প্রশংসিত সিনেমাগুলোর মধ্যে হলো— সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনী সংকেত’, তরুণ মজুমদারের ‘থাগিনি’, ‘বাবা তারকনাথ’, ‘মণিহার’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘আলোর পিপাসা’, ‘সংসার সীমান্ত’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘মৃগ’, ‘পলাতক’, ‘গণদেবতা’, ‘বাঘিনী’ প্রভৃতি।

মমতা বন্দ‌্যোপাধ‌্যায়ের আহ্বানে তৃণমূলে যোগ দেন সন্ধ‌্যা রায়। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পান এবং মেদিনীপুর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এই বরেণ‌্য অভিনেত্রী।