বিনোদন

গায়কের সঙ্গে স্বস্তিকার সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষা, মুখ খুললেন শিলাজিৎ

ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। ব্যক্তিগত জীবনে অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তবে কোনো সম্পর্কই টিকেনি, ভেঙে গেছে, আলাদা হয়ে গিয়েছে যার যার জীবনের পথ।

কিছু দিন ধরে গায়ক শিলাজিতের সঙ্গে স্বস্তিকার সম্পর্ক নিয়ে জোর চর্চা চলছে। মাস দুয়েক আগে ঘরোয়া এক আড্ডায় স্বস্তিকা-শিলাজিতের রসায়ন নজরকাড়ে। ১২ বছর পর হঠাৎ দেখা তাদের। আর সেখান থেকেই গভীর বন্ধুত্ব। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে টলিপাড়ায় কানাঘুষা চলছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

তবে এরই মাঝে এ বিষয়ে মুখ খুললেন গায়ক শিলাজিৎ। ‘অযোগ্য’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে হাজির হয়ে এ নিয়ে কথা বলেন শিলাজিৎ। এ গায়ক বলেন, ‘স্বস্তিকার সঙ্গে যখন আমার প্রথম আলাপ, তখন স্বস্তিকা অনেক ছোট ছিল। আমিও ছিলাম। যদিও আমি অতটাও ছোট ছিলাম না, তখন আমার প্রায় ৪০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে, স্বস্তিকা সেটা বিশ্বাস করেনি, বুঝতেও পারেনি।’

স্বস্তিকার কথায় শিলাজিৎ দাড়ি কেটেছেন। তা জানিয়ে তিনি বলেন, “এতদিন পর স্বস্তিকার সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। তবে আমি একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই যে এতদিন পর ও আমাকে বলতে পারছে, ‘দাড়িটা কাটতে হবে, না হলে আমি দেখা করব না।’ সেটা থেকে বুঝতে হবে, প্রেম হলে এটা কতদিন টিকত আমি জানি না। কিন্তু এটা ভালোবাসা ছাড়া সম্ভব না, বন্ধুত্ব ছাড়া সম্ভব না। এই বন্ধুত্বটা আমাদের আছে, সেটা তখনো ছিল এখনো আছে।”

টলিপাড়ায় নানা কানাঘুষা চললেও স্বস্তিকার সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বিষয়টি পরিষ্কার করে শিলাজিৎ বলেন, ‘আমরা একে অপরকে নিয়ে কেউই পজেসিভ নই, বন্ধুর মতো থাকি, কথা বলি।’

১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। বাবা-মায়ের পছন্দে এ বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে সংসার জীবনে ছন্দপতন ঘটে।

২০০০ সালে দুধের শিশু অন্বেষাকে কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন স্বস্তিকা। একই বছর বিয়েবিচ্ছেদের মামলা করেন তিনি। তারপর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে কন্যা অন্বেষাকে বড় করেছেন এই নায়িকা। সবাই জানতেন প্রমিত-স্বস্তিকার বিয়েবিচ্ছেদ হয়ে গেছে। কিন্তু তেমনটা ঘটেনি। তারা কাগজে-কলমে এখনো স্বামী-স্ত্রী। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে আদালতে তাদের বিচ্ছেদের মামলা চলছে।