বিনোদন

ধর্মীয় বাধা পেরিয়ে সোনাক্ষীর বিয়ে, যা বললেন তসলিমা নাসরিন

দীর্ঘ সাত বছর প্রেম করে অভিনেতা জহির ইকবালকে বিয়ে করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। রোববার (২৩ জুন) রাতে মুম্বাইয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা।

সোনাক্ষী হিন্দু ধর্মের অনুসারী আর জহির মুসলিম। দু’জন দুই ধর্মের হওয়ায় তাদের বিয়ে নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে জোর আলোচনা চলছে। তবে কেউই নিজ ধর্ম ত্যাগ করেননি। বরং ভারতের বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন তারা।

সময়ের আলোচিত এই বিয়ে নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন। সোমবার (২৪ জুন) ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ নিয়ে কথা বলেন তিনি।

লেখার শুরুতে তসলিমা নাসরিন বলেন, ‘জহির ইকবাল আর সোনাক্ষী সিনহার বিয়ে হলো স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে। যার যার ধর্ম তার তার থাকছে। বিয়ের কারণে কারো ধর্মবিশ্বাস পরিবর্তন করতে হয়নি। জহির তার নামাজ রোজা, আদৌ যদি তার ইচ্ছে হয় করবে। আর সোনাক্ষীর যদি পুজো করতে ইচ্ছে হয় করবে। হ্যাঁ, একই বাড়িতে। কেউ কাউকে বাধা দেবে না। শাহরুখ খানের বাড়িতে তো এমনই হয়। মধুর যেকোনো সম্পর্কে ধর্ম হয়ে ওঠে তুচ্ছ ব্যাপার।’

বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে করাকে ঝামেলামুক্ত মনে করেন তসলিমা নাসরিন। তার মতে— ‘হিন্দু-মুসলমানে বিয়ে হলে হিন্দুই ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। খ্রিষ্টান-মুসলমানে বিয়ে হলে খ্রিষ্টানই ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। বিয়ের কারণে কোনো মুসলমানকে ধর্ম বদলাতে হয় না। অথচ মুসলমানের সঙ্গে বিয়ে হলে সব অমুসলিমকে নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হয়। এইসব ঝামেলায় না গিয়ে সবচেয়ে ভালো স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে করা।’

ধর্ম বদলানোর জন্য যে প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা চাপ দেয় তাকে বিয়ে না করাই ভালো। এ মত উল্লেখ করে তসলিমা নাসরিন বলেন, ‘যে মানুষ তার প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ধর্ম বদলাবার জন্য চাপ দেয়, তাকে বিয়ে না করাই ভালো। কারণ সে মানুষের চেয়ে ধর্মকে বেশি ভালোবাসে, তা ছাড়াও নিজের ধর্মকে সব ধর্মের ওপরে রাখে। এই মেগালোম্যানিয়া সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।’