ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন এই অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন। আবার সমকালীন বিষয় নিয়ে কথা বলেও বহুবার সমালোচিত হয়েছেন স্বস্তিকা।
সিঙ্গেল মাদার হিসেবে স্বস্তিকা তার কন্যা অন্বেষাকে মানুষ করেছেন। কিছুদিন আগে মেয়ে অন্বেষার সুইমস্যুট পরে জলে সাঁতার কাটেন স্বস্তিকা। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর ফের নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হন। এ নিয়ে সমালোচনার ঢেউ এখনো থামেনি। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এসব নিয়ে কথা বলেছেন স্বস্তিকা।
খুব শিগগির পিএইচডি করতে বিদেশে পাড়ি জমাবেন স্বস্তিকার কন্যা অন্বেষা
সমাজের চোখে স্বস্তিকা নাকি অপদার্থ মা— নিজেকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেন স্বস্তিকা। একজন মায়ের কী কী করা উচিত তা নিয়ে সমাজের নানা অলিখিত ফতোয়া রয়েছে। এসব তথ্য উল্লেখ করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, ‘ভালো মায়ের চুল লম্বা হবে। ভালো মা মানে মদ-সিগারেট খাবে না, হাতকাটা ব্লাউজ পরবে না। তারা হয়তো সাঁতার কাটতে গিয়ে সাঁতারের পোশাকও পরবে না। আমি জানি না তারা কী পরে! রাতপোশাকের ওপর গামছা নিয়ে তো আর সাঁতার কাটতে পারবে না!’
সমাজের বাধা-নিষেধ স্বস্তিকার কাছে কখনো বারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। স্বস্তিকার মা-বাবাও কোনোদিন তাকে বলেননি যে, সমাজের এসব বারণ তাকে মেনে চলতে হবে। মেয়ের সঙ্গে স্বস্তিকারও সম্পর্কও তেমন; যেকোনো কথা তারা সাবলীলভাবে বলতে পারেন।
এ বিষয়ে স্বস্তিকা বলেন, ‘আমার মেয়ে জামা কেনার সময়ও আমাকে ছবি পাঠায়। আমি বলি এটা ভালো, ওটা খারাপ। কখনো বলি, এই জামাটা কেনা ঠিক আছে। কিন্তু ভারতে এই জামা পরে ঘুরে বেড়াতে পারবে না তুমি।’
শুধু মা কীভাবে দেখছেন, তা নিয়ে সচেতন মেয়ে অন্বেষা। সমাজের বাকি লোক কী ভাবল তা নিয়ে অন্বেষার মাথা ব্যথা নেই বলেও জানান স্বস্তিকা।
১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেন স্বস্তিকা মুখার্জি। বাবা-মায়ের পছন্দে এ বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে সংসার জীবনে ছন্দপতন ঘটে। দুধের শিশু কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন স্বস্তিকা। তারপর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে কন্যা অন্বেষাকে বড় করেন এই নায়িকা; মেয়েই এখন স্বস্তিকার বেস্ট ফ্রেন্ড।