বিনোদন

কোটা আন্দোলন নিয়ে যা বললেন তারকারা

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের উত্তাপ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। পক্ষ-বিপক্ষ দলের সংঘর্ষে আহত ও নিহত হয়েছেন বেশ কজন শিক্ষার্থী। গত কয়েক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও নিজেদের ভাবনার কথা জানিয়েছেন।

গতকাল ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তাতে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তাক্ত লোগো। এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরবে কেন?’ এরপর ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘সহিংসতা কাম্য নয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় আক্রান্ত এক ছাত্রীর ছবি পোস্ট করে পরীমণি লেখেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতায় আপনার জবান বন্ধ থাকলে আপনি মুনাফিক।’ কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার পরিচালক ও অভিনেতা সুমন আনোয়ার। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘দেশটা তাহলে শুধুই আপনাদের, আমরা ধৈঞ্চা? আসলে যেখানে দায়িত্ব শব্দটা ‘ক্ষমতা’ হিসেবে ব্যবহার হয়, সেখানে নাগরিক ধৈঞ্চা।’ এরপর আরেক পোস্টে সুমন আনোয়ার লেখেন, ‘দুর্দান্ত ঢাকা উত্তেজিত দেশ, ঘুরে দাঁড়াবেই বাংলাদেশ।’

টেলিভিশন অভিনেত্রী সাবিলা নূর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তাক্ত লোগো ফেসবুকে পোস্ট করেন। এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আর কোনো রক্ত না ঝরুক।’ ‘মহানগর’খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে লিখেন, ‘ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান।’

‘ওরা ৭ জন’ সিনেমার পরিচালক খিজির হায়াত খান লিখেন, ‘লাঠিয়াল বাহিনী ছাত্রলীগকে আমাদের দেখিয়ে দেওয়ার জন্য এ দেশটা এই মুহূর্তে শুধু আওয়ামী লীগ আর ছাত্রলীগের। আপনাদের শিল্পকর্ম টাইম লাইন এ থাকল। একদিন এই দেশটা আবার স্বাধীন হবে জেনে রাইখেন।’

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক অভিনেতা সিয়াম আহমেদও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তাক্ত লোগো ফেসবুকে পোস্ট করেন। প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমার ক্যাম্পাস রক্তাক্ত কেন? শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরবে কেন?’ সিয়ামের মতো চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘আমার নানা-দাদা মুক্তিযোদ্ধা। আমার কোটা লাগে না। অনেক চাকরি আছে, কেন শুধু সরকারি চাকরিই করতে হবে। আর কিছু কোটা থাকলে সমস্যাটা কী? এত মারামারি কেন?’

ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকও কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরব। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘হয়তো দুই একদিনের মধ্যেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, হয় দাবি আদায় হবে, আর নাহয় ভাগ্য খুব খারাপ হলে, হবে না। কিন্তু এই যে ৬টি তাজা প্রাণ, এটার দায়ভার কে বা করা নেবে? আর কি কোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের ফিরিয়ে আনা যাবে? আমরা মাঝে মাঝে এত নিষ্ঠুর কেন হই?’