বিনোদন

কোটা আন্দোলন নিয়ে বিবৃতি দিয়ে তোপের মুখে নিপুণ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরগরম রাজপথ। গত কয়েক দিন ধরে দেশের শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আসছেন। ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকাও নিজের অবস্থানের জানান দিয়েছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন এই নায়িকা।

বুধবার (১৭ জুলাই) নিপুণ নিজের ফেসবুকে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্যাডে বিবৃতিটি লেখা হয়েছে। যাতে নিপুণ লেখেছেন, ‘বাঙালির সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় ১৯৭১ এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সর্বস্ব বাজি রেখে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে স্বাধীন সার্বভৌম এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের এই ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারব না। কিন্তু বাঙালি তার শেষ বিন্দু রক্ত দিয়ে হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে যাবে।’

নিপুণের বিবৃতি

কোটা আন্দোলনকে যৌত্তিক দাবি করে নিপুণ লেখেন, ‘কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে আমাদের কিংবা রাষ্ট্র কারো কোনো বিভেদ নেই। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর যেকোনো যৌক্তিক রাজনৈতিক বা সামাজিক আন্দোলনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

কোটা আন্দোলনকে ইস্যু করে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছেন তাদের প্রতি ঘৃণা জানিয়ে নিপুণ লেখেন, ‘এই কোটা আন্দোলনকে ইস্যু করে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছেন এবং রাজাকারদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মনে রাখতে হবে… তুমি কে?, আমি কে?, বাঙালি, বাঙালি… এই স্লোগান বাঙালি জাতির সবচেয়ে গর্বের স্লোগান। জয় বাংলা।’

নিপুণের এই বিবৃতি নেটিজেনদের অনেকে ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। কমেন্ট বক্সে একজন লেখেন, ‘তেল দেওয়ার এখনই সময়, সঠিক সময় এসেছেন জায়েদা আক্তার নিপুণ।’ আরেকজন লেখেন, ‘দালালি মারাও?’ কেউ কেউ নিপুণকে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করে মন্তব্য করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি নিয়ে নিপুণ তোপের মুখে পড়েছেন, তা হলো বিবৃতির প্যাড। কারণ নিপুণ তার নামের পাশে লেখেন, সাধারণ সম্পাদক (সাবেক), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।

নেটিজেনদের প্রশ্ন— একটি সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কীভাবে সমিতির প্যাড ব্যবহার করতে পারেন? জিয়া নামে একজন লেখেন, ‘এই প্যাড ব্যবহার করার আপনি কে?’ মাসুদ রানা নকীব লেখেন, ‘কিন্তু কথা হচ্ছে সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উপেক্ষা করে আপনি কীভাবে সমিতির প্যাড ব্যবহার করে প্রতিবাদ জানান? আপনি তো এই কমিটির কোনো পদেও নেই। সাবেক সাধারণ সম্পাদক হয়েও সমিতির প্যাড ইউজ করার নিঞ্জা টেকনিক দেখিয়ে দিলেন আপা!’ এমন অসংখ্য মন্তব্য কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে।