বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাঠে সোচ্চার ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এখনো তার প্রতিবাদ চলমান। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার রাতে শপথ নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা।
এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা কি জানতে চাওয়া হলে বাঁধন বলেন, ‘প্রথমত ছাত্র সমাজকে ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ তারা আমাদেরকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা দিয়েছেন। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন সফল হয়েছে। ছাত্ররা আমাদের পথ দেখিয়েছেন আমরা শুধু কাধে কাঁধ মিলিয়েছি। এছাড়া আর কিছু করতে পারিনি।’
সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা জানিয়ে বাঁধন বলেন, ‘এটা একটা অসাধারণ জার্নি ছিল। যে জার্নির কথা আমি পুরো জীবনে ভুলব না। আমাদের কষ্ট সফল হয়েছে। যদিও এখন কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটছে, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। কখনই এগুলোর সমর্থন করি না। সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলে, সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলে, আমরা আমাদের বিদ্বেষের রাজনীতি বন্ধ করব। একটা নারীবান্ধব গণতান্ত্রিক বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ব।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বাঁধন বলেন, ‘আমি খুব আশাবাদী এই সরকার নিয়ে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমার ভীষণ আস্থা। এই সরকারের প্রতি আমি চাইব- আমাদের সবগুলো সিস্টেমে যে পচন ধরেছে, আমাদের যে সামাজিক অবক্ষয় ঘটেছে সেগুলো এই সরকার শৃঙ্খলার মধ্যে আনার পর ভোটের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক দেশ উপহার দিবেন।’