বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও দলটির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শিল্পীরা ‘আলো আসবেই’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন। গতকাল তাদের কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এসব স্ক্রিনশট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি স্ক্রিনশটের কথোপকথনে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন। ফায়ার সার্ভিস ও গণমাধ্যমকে ঢুকতে দিচ্ছে না টোকাই জামাত শিবিরের মেধাবী আন্দোলনকারীরা।’
এ মেসেজের জবাবে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস লেখেন, ‘গরম জল দিলেই হবে।’ অরুণা বিশ্বাসের এই মন্তব্য ভালোভাবে গ্রহণ করেননি নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। এবার বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
ফেসবুকে অরুণা বিশ্বাসের মেসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করে পরীমণি লেখেন— ‘অমানুষ! হিংস্র! লোভি! এত হিংসা নিয়ে কখনোই শিল্পী পরিচয় বহন করতে পারেন না আপনি। ধিক আপনাকে থু।’
এ পোস্টে পরীমণির প্রশংসা করে তার ভক্ত-অনরাগীরা যেমন মন্তব্য করেছেন, তেমনি তার সহিশিল্পীরাও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। চিত্রনায়িকা নিশাত নাওয়ার সালওয়া লেখেন, ‘ওনার কথাবার্তা প্রচুর অহংকারী ধাঁচের ছিল। নিজেকে মহানায়িকা ভাবতেন।’ নাজমা নামে একজন লেখেন, ‘এই জন্য পরীমণিকে এত ভালো লাগে।’ কেউ কেউ অরুণা বিশ্বাসের শাস্তিও দাবি করেছেন।
ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে অরুণা বিশ্বাস ছাড়াও যুক্ত ছিলেন— রোকেয়া প্রাচী, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, সাবেক এমপি ফেরদৌস, রিয়াজ আহমেদ, শমী কায়সার, সুইটি, মাসুদ পথিক, সাবেক এমপি আরাফাত, আশনা হাবীব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম প্রমুখ।