বিনোদন

ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তকে প্রিন্স মাহমুদের সমর্থন: নেটিজেনদের সমালোচনা, পাল্টা জবাব

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি না হওয়ায় ভারতে ইলিশ মাছের সংকট তৈরি হয়। বিশেষ করে কলকাতায় মাছটির দাম ভীষণভাবে বেড়ে গেছে। এরপর ইলিশ নিয়ে এপারওপার বাংলায় চলতে থাকে চর্চা।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশটিতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গুণী গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরু থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। এখনো তার ব্যতিক্রম নয়। ইলিশ রপ্তানি নিয়ে প্রিন্স মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিল সরকার। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানের বিষয় স্মরণ করে এ শিল্পী বলেন, ‘এ বিষয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর বলেছিলাম, ভুলে না যাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমর্থনে কলকাতার শিক্ষার্থী বন্ধুরা কীভাবে ফুঁসে উঠেছিল। বন্ধুদের পুজো দুর্দান্ত হোক।’

ভারতে ইলিশ রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর যেমন সমালোচনা হয়েছে, তেমনি ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও চর্চা চলছে। নেটিজেনদের অনেকে প্রিন্স মাহমুদের বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করছেন। আবার অনেকে প্রিন্স মাহমুদের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করছেন।

তবে প্রিন্স মাহমুদের বক্তব্য নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে কমেন্ট বক্সে নিজের ভাবনার কথা জানান। এতে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘যারা রাগ হচ্ছো, হও। আমাকে নিয়ে দুইজনের লেখা দেখছি। ইবাদত আমি কম করি না। নামাজ খুব একটা কাজা হয় না। সোম ও বৃহস্পতি রোজা রাখি। আজকেও রোজা রাখছি। রাগ বেশি, কিন্তু ভেতর পরিষ্কার। আমার দোয়া কবুল হয়। নিশ্চিত হয়।’

যারা প্রিন্স মাহমুদকে হিন্দু বানানোর চেষ্টা করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জন্ম থেকে বুখারি শরিফের প্রতিটি খণ্ড আমার বাসায় আব্বার রেখে যাওয়া। অতএব নব্য মুসলিম হয়ে আমাকে কেউ হিন্দু বানায় দিতে এসো না। লাভ নাই। কিসসু কেয়ার করি না। কারো কাছে ভালো হওয়ারও দরকার নাই। মন্দ হওয়ারও দরকার নাই। কাউকে ভয় পাই না। মন যেটা বলে সেটাই বলে যাই। ২০০৯ সালে হজ করেছি। ফেসবুকে এসে অতিকায় মুসলমান হিসেবে নিজেকে জাহির করি নাই। মানুষ হিসেবে যেটুকু বলার বলছি।’