বিনোদন

‘আমি কিংবা আবিরদা কেউই কামযন্ত্রণায় ছটফট করি না’

ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’খ‌্যাত অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। ছোট পর্দার পর রুপালি জগতেও পা রেখেছেন তিনি। তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘বহুরূপী’। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন ঋতাভরী ও আবির চ্যাটার্জি। নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জি পরিচালিত সিনেমাটি দুর্গা পূজায় মুক্তি পাবে।

আপাতত সিনেমার প্রচারের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঋতাভরী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, আপনাদের বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রয়েছে। শুটিং করতে গিয়ে কোনো আড়ষ্টতা কাজ করেছিল কিনা?

জবাবে ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন, ‘আবিরদা আমার সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, সেই বোঝাপড়াটা রয়েছে। না হলে আমাদের জুটিটা এতটা এগিয়ে যেত না। আমরা তো উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেন অথবা শাহরুখ খান-কাজলের মতো জুটি নই। তাই প্রতিবারই আমাদের রসায়ন তৈরি করতে হয়। রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন যেমন বাস্তবেও যুগল। তাই তাদের নিয়ে মানুষের একটা ধারণা রয়েছে। কিন্তু আমাদের সেটা তৈরি করতে হয়।’

ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন, ‘স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে আবিরদার একটা জগৎ আছে। আমার একটা অন্য জগৎ রয়েছে। মানুষ হিসেবেও আমরা ভিন্ন। কিন্তু পরস্পরের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল ও স্বাচ্ছন্দ্য। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে পেরেছি কারণ আমি বা আবিরদা কেউই কামযন্ত্রণায় ছটফট করি না। তাই এই দৃশ্যগুলোতে পরস্পরের স্পর্শে কখনো অস্বস্তি হয়নি।’

উদাহরণ টেনে ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন, “ফাটাফাটি’-তেও স্বামী-স্ত্রীর রসায়ন ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিলাম এই বোঝাপড়া আছে বলে। আমি নিজেও আমাদের জুটিকে দর্শক হিসেবে দেখেছি। এটুকু বলতে পারি, বুম্বাদা-ঋতুদির পরে আমি নিজেদের জুটির মধ্যে সেই রসায়ন খুঁজে পেয়েছি। সত্যিই যেন দুটো মানুষ পরস্পরকে ভীষণভাবে চায়।”

‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকের মাধ‌্যমে টেলিভিশনে আত্মপ্রকাশ করেন ঋতাভরী। ২০১১ সালে ‘তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি। ২০১২ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তবু বসন্ত’। ঋতাভরী অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘চতুষ্কোণ’, ‘বারুদ’, ‘পরী’, ‘শেষ থেকে শুরু’ প্রভৃতি।