বিনোদন

সিমির সঙ্গে রতন টাটার প্রেম, ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী

ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান টাটা গ্রুপের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান রতন টাটা মারা গেছেন। তার আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ভারতবাসী। ভারতের বিভিন্ন অঙ্গনের মতো রুপালি জগতের তারকারাও ব্যথিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক তারকাই শোকগাঁথা রচনা করেছেন।

৮৬ বছর বয়সে রতন টাটার চলে যাওয়ায় ভীষণ ভেঙে পড়েছেন ৬২ বছর বয়সি বলিউড অভিনেত্রী সিমি গারেওয়াল। মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) সিমি লেখেন— ‘তারা বলে তুমি চলে গেছো। তোমাকে হারানোর ক্ষতি সহ্য করা খুব কঠিন… খুব কঠিন… বিদায় আমার বন্ধু।’

ধনকুবেরের বাইরেও রতন টাটা একজন মানবিক মানুষ ছিলেন। তার কর্ম তাকে বাঁচিয়ে রাখবে। কেবল এ কারণে সিমি মানসিকভাবে এতটা ভেঙে পড়েননি। এর পেছনে আরেকটি কারণ রয়েছে। আর তা হলো— অভিনেত্রী সিমির প্রাক্তন প্রেমিক ছিলেন রতন টাটা। ২০১১ সালে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজ মুখে সম্পর্কে থাকার কথা স্বীকার করেন এই অভিনেত্রী।

এ সাক্ষাৎকারে রতন টাটাকে নিয়ে সিমি বলেছিলেন, ‘রতন এবং আমি বহুদূর ফিরে গিয়েছিলাম। সে পরিপূর্ণ, সে নিখুঁত ভদ্রলোক। অর্থ কখনো তার চালিকা শক্তি ছিল না। বিদেশের মতো ভারতে সে স্বস্তিবোধ করে না।’ রতন টাটার সঙ্গে সিমির প্রেমের সম্পর্ক বেশি দিন দীর্ঘ হয়নি। সম্পর্ক ভেঙে গেলেও তারা খুব ভালো বন্ধু ছিলেন।

১৯৭০ সালে রবি মোহনের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন সিমি। ১৯৭৯ সালে এ সংসার ভেঙে যায়। এরপর আর বিয়ে করেননি এই অভিনেত্রী। তবে রতন টাটা পুরোটা জীবন অবিবাহিত ছিলেন। যদিও তার জীবনে একাধিক প্রেম এসেছিল বলে স্বীকার করেন এই ধনকুবের।

১৯৯৭ সালে একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন রতন টাটা। এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছিলেন সিমি। সেখানে রতন টাটা জানিয়েছিলেন, কখনো কখনো তিনি স্ত্রী-সংসারের শূন্যতা অনুভব করেন।

একাকিত্বের কথা স্মরণ করে রতন টাটা বলেছিলেন, ‘স্ত্রী অথবা পরিবার না থাকায় অনেক সময়ই আমি একাকিত্ব বোধ করি। কখনো কখনো এটি পাওয়ার ইচ্ছা হয়। কিছু সময় অন্য কারো অনুভূতি অথবা অন্য কারো উদ্বিগ্নতা নিয়ে চিন্তা না করার স্বাধীনতা উপভোগ করি। অন্য সময় একাকিত্ব অনুভব করি।’

বিয়ে করতে চেয়েছিলেন রতন টাটা। তা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কয়েকবার বিয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম, সর্বশেষ তা হয়নি।’

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস নাউ