বিনোদন

সিনেমায় নোংরা দৃশ্য দেখে বিব্রত নওশাবা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের সোনালি যুগের অবসানের পর নব্বই দশকের শেষ লগ্নে কাটপিস সিনেমার আগ্রাসন শুরু হয়। ২০০০ সালের পর বেশকিছু শিল্পীর বিরুদ্ধে অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয়ের অভিযোগ ওঠে।

এ পরিস্থতিতে সিনেমাপ্রেমী মানুষ হলবিমুখ হতে শুরু করেন। ওই সময়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও দেশের কিছু প্রেক্ষাগৃহে অশ্লীল সিনেমা প্রদর্শিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকার বাইরে দুটি সিনেমা হল থেকে কাটপিসযুক্ত সিনেমা জব্দ করেছে পুলিশ। জব্দকৃত সিনেমা পাঠানো হয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে। কাটপিসযুক্ত সেই অশ্লীল সিনেমা দেখে বিব্রত সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা জব্দ করা ‘জাঁদরেল’ ও ‘শক্র ঘায়েল’ শিরোনামে সিনেমা দুটি দেখেন। অভিযোগ ছিল, সিনেমায় অশ্লীল কাটপিস দৃশ্য লাগিয়ে হলে প্রদর্শন করা হচ্ছিল। পরে তার সত্যতা পান বোর্ডের সদস্যরাও।

জানা যায়, ঢাকার বাইর অবস্থিত রুপা ও লাবণী নামে দুটি প্রেক্ষাগৃহ থেকে এই সিনেমাগুলো জব্দ করা হয়।

সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, ‘এই সিনেমাগুলো দেখা আমার জন্য বিব্রতকর ছিল। একটি সিনেমায় অদ্ভুতভাবে আজেবাজে দৃশ্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের সিনেমা কোনো সভ্য দেশের দর্শকের জন্য নয়।’

কাটপিসযুক্ত সিনেমা সমাজের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, ‘এসব সিনেমা সমাজের জন্য হানিকর। যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখিয়ে আমরা মতামত দিয়েছি। এখন স্বাধীনতা মানেই দায়িত্বহীনতা নয়, বরং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া। আমরা সৃজনশীল কাজগুলোকে অবশ্যই আলাদাভাবে গুরুত্ব দেব। যে সিনেমা সমাজ গঠনে কিছুটা হলেও গুরুত্ব রাখবে।’

যারা অশ্লীল সিনেমা প্রদর্শন করছেন, তাদের আইনের আওতায় আনার কথাও জানিয়েছেন সার্টিফিকেশন বোর্ডের কেউ কেউ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছর দশেক আগে নির্মিত অশ্লীল চলচ্চিত্রগুলোই ডিজিটাল ফরমেটে রূপান্তর করে কিছু প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হচ্ছে। মাঝে মাঝে দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহের সামনে অশ্লীল সিনেমার পোস্টারও দেখা যায়।