সৎ মেয়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন ভারতীয় অভিনেত্রী রূপালী গাঙ্গুলি। ক্ষতিপূরণ বাবদ সৎ মেয়ের কাছে ৫০ কোটি রুপি দাবি করে নোটিস পাঠিয়েছেন তার আইনজীবী সানা রইস খান। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর মায়ানগরীতে জোর চর্চা চলছে।
রূপালি গাঙ্গুলীর স্বামী অশ্বিন ভার্মার আগের পক্ষের কন্যা এষা। সম্প্রতি ২৬ বছর বয়সি এষা সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন। সৎমা রূপালীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন। এষার দাবি— ‘অনুপমা’ টিভি সিরিয়ালে রূপালী নারীর অধিকার, নারীর মর্যাদা নিয়ে যে বড়াই করেন, বাস্তবে তার কিছুই মানেন না তিনি। বরং বাস্তবে অন্যের সংসার ভেঙে নিজে সুখী হয়েছেন।
অশ্বিন ভার্মার সঙ্গে রূপালীর পরকীয়া সম্পর্কের কারণে এষার মায়ের সংসার ভেঙেছে। এ তথ্য উল্লেখ করে এষা জানান, মা-বাবার দাম্পত্যের মাঝে এসে দাঁড়ান রূপালী। তার মাকে মারধর করেন, গহনা চুরি করে নেন। মা-বাবার বিচ্ছেদের আগে, তাদের ঘরেও রূপালী শুতে শুরু করেন বলে দাবি এষার।
এষার এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রূপালী গাঙ্গুলির আইনজীবী সানা রইস খান। তিনি জানান, অভিনেত্রী রূপালী গাঙ্গুলির নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তার সৎ মেয়ে এষা। মানহানির মামলা করে প্রচারে থাকা রূপালীর লক্ষ্য নয়। কিন্তু ভাবমূর্তির কথা ভেবে আইনি পদক্ষেপ করতে হচ্ছে তাকে।
মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন রূপালী। এ তথ্য উল্লেখ করে সানা জানান, এষা যেসব দাবি করেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রূপালীর ভাবমূর্তি নষ্ট করা, তার নাম ভাঙিয়ে প্রচারের আলোয় আসাই লক্ষ্য ছিল এষার। এষার এমন আচরণে শুধু মানসিকভাবেই ভেঙে পড়েননি রূপালী, ব্যক্তিগত এবং পেশাগতভাবেও তার সম্মানহানি হয়েছে।
রূপালী গাঙ্গুলি মানহানির মামলা করার পর নতুন করে কিছু বলেননি এষা। বরং নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করে দিয়েছেন। এ নিয়ে রূপালীর স্বামী অশ্বিনেরও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।