হিন্দি টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন রেশমি দেশাই। পরবর্তীতে বলিউড সিনেমায় নাম লেখান। দুই দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য টিভি সিরিয়াল ও বিভিন্ন ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে নানারকম চড়াই-উতরাই পার করেছেন রেশমি দেশাই। কাস্টিং কাউচের শিকারও হয়েছেন এই অভিনেত্রী। কয়েক দিন আগে বলিউড বাবলকে সাক্ষাৎকার দেন রেশমি দেশাই। এ আলাপচারিতায় তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রেশমি দেশাই বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও আমি এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। একবার আমাকে অডিশনের জন্য ডাকা হয়। আমি যাই। তখন আমার বয়স ১৬ বছর। কিন্তু এক ব্যক্তি আমাকে অচেতন করার চেষ্টা করে। আমি খুব অস্বস্তি বোধ করেছিলাম। কোনোভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলাম। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই বিষয়টি মাকে খুলে বলি।’
ওই ব্যক্তিকে থাপ্পড় মারার ঘটনা জানিয়ে রেশমি দেশাই বলেন, ‘আমার মনে আছে, পরের দিন মাকে সঙ্গে নিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে যাই। আমার মা তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য থাপ্পড় মেরেছিলেন।’
‘কাস্টিং কাউচ একটি বাস্তব বিষয়। কিন্তু প্রত্যেক ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো ও খারাপ মানুষ রয়েছেন। ক্যারিয়ারে অনেক দারুণ দারুণ মানুষও পেয়েছি। তাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা অসাধারণ। সৃষ্টিকর্তা দয়ালু।’ বলেন রেশমি দেশাই।
২০০২ সালে আসামি ভাষার একটি সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন রেশমি। এরপর ভোজপুরি ভাষার তিনটি সিনেমায় দেখা যায় তাকে। ২০০৪ সালে ‘ইয়ে লামহে জুদাই হ্যা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ-রাভিনা ট্যান্ডন। ত্রিশের অধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
২০০৬ সালে ‘রাভন’-এর মাধ্যমে হিন্দি টিভি ধারাবাহিকে পা রাখেন রেশমি। মূলত, টিভি সিরিজে কাজ করে খ্যাতি কুড়ান তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি সিরিজ হলো— ‘উত্তরণ’, ‘দিল সে দিল তাক’, ‘নাগিন’ প্রভৃতি।