ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব ভার্মা আজ মারা গেছেন। দিল্লিতে অবস্থান করার কারণে এ সময় পাশে ছিলেন না তিনি। তাদের কন্যা রাইমা সেনও দিল্লিতে ছিলেন। মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতার বিমান ধরেন মা-মেয়ে। আজ বিকাল ৪টার দিকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। তখন ভরত দেব ভার্মার মরদেহের পাশে বসে ছিলেন মুনমুন সেনের ছোট মেয়ে রিয়া সেন। ভারতীয় একটি গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মুনমুন সেনের স্বামীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শোবিজ অঙ্গনের তারকারা কলকাতার বালিগঞ্জের বাড়িতে হাজির হতে থাকেন। আবির চ্যাটার্জি, সুজয়প্রসাদ চ্যাটার্জি, ঊষা উত্থুপ, তেলঙ্গানার রাজ্যপাল জিষ্ণু দেব ভার্মা, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তসহ অনেকে হাজির হন। তারা সবাই মুনমুন সেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাড়ির বাইরে আসেন মুনমুন ও রাইমা সেন। তবে রিয়া সেন বাড়ির বাইরে আসেননি।
এ সময় মুনমুন সেন বলেন, “আজকের পর জীবনটা বদলে যাবে। সকলকে আগলে রাখতেন। আমাদের জীবনটাই বদলে যাবে।”
দিল্লিতে ছিলেন রাইমা সেনও। যার কারণে বাবার মৃত্যুর সময়ে পাশে থাকতে পারেননি তিনি। আফসোস করে রাইমা সেন বলেন, “শেষ সময় পাশে থাকতে পারলাম না। বাবাকে খুব মিস করব।” এসময় রাইমা সেনের চোখ ছলছল করছিল।
মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কন্যা মুনমুন সেন। ১৯৭৮ সালে সুচিত্রা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভরতের সঙ্গে কন্যার বিয়ে দেন। জানা যায়, স্বামীর অনুমতি নিয়ে অভিনয়ে নাম লেখান মুনমুন সেন। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত প্রথমে মেনে নেননি সুচিত্রা। এ নিয়ে মনমালিন্য তৈরি হয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে তা মিটে যায়। মুনমুন-ভরত দম্পতির দুই কন্যা। তারা হলেন— রাইমা সেন ও রিয়া সেন। তারা দুজনেই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সন্তান ভরত দেব ভার্মা। ভরতের মায়ের নাম ইলা দেবী, তিনি ছিলেন কোচবিহারের রাজকুমারী, যার ছোট বোন গায়ত্রী দেবী জয়পুরের মহারানি। ১৯৪১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন ইলা দেবী। ত্রিপুরার মহারাজা রমেন্দ্রকিশোর দেব ভার্মাকে বিয়ে করেন তিনি। এ দম্পতির পুত্র ভরত।