২৮ বছর বয়সী বাঙালি গিটারিস্ট মোহিনী দে। অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রাহমান ও সায়রা বানুর বিচ্ছেদের পর থেকে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। সম্প্রতি প্রায় তিন দশকের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন এ আর রহমান। একই দিনে সংসার ভাঙার খবর জানান তার দলের বেজ গিটারিস্ট মোহিনী দে। ভারতীয় মিডিয়া এবং নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়েছেন। যদিও এ আর রহমানের পুত্র-কন্যারা বলছেন, ‘‘মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন গুজব।’’ তারপরেও আলোচনা থামছে না।
মোহিনী দের পৈতৃক বাড়ি কলকাতায়। কিন্তু তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা মুম্বাইয়ে। মোহিনীর বাবা সঞ্জয় দে-ও একজন নামকরা গিটারিস্ট। মাত্র ৩ বছর বয়সে বাবার কাছে গিটারে হাতেখড়ি নিয়েছেন মোহিনী। অল্প সময়ে আয়ত্ব করে নিয়েছেন নানা কৌশল। ১০ বছর বয়স থেকে কনসার্ট ও রেকর্ডিং শুরু করেছেন তিনি। বলা হয়, মোহিনী এই সময়ে সবচেয়ে ব্যস্ত তরুণ বেজ গিটারিস্টদের একজন।
মোহিনী দে-মাত্র দেড় দশকের ক্যারিয়ারে এ আর রাহমান, জাকির হুসেন, জর্জ ব্রুকসসহ নামকরা আরও অনেকের সঙ্গে গিটার বাজিয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি এলিফান্টা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, চেন্নাই গ্লোবাল মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল জ্যাজ ফেস্টিভ্যাল ও কোক স্টুডিও ইন্ডিয়াতে গিটার বাজিয়েছেন মোহিনী। তাকে নিয়ে প্রতিবেদন হয়েছে রোলিং স্টোনে। মোহিনী ফোর্বস ইন্ডিয়ার ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।
সুরকার মার্ক হার্টসাচের সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন এই গিটারিস্ট। মোহিনী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, মার্কের সঙ্গে সংসারের ইতি টানছেন তিনি।