‘রিমেম্বারিং মুনসুন রেভুলেশন’ প্রোগ্রামের সার্চ কমিটির সদস্য করা হয়েছে লেখক সুমন রহমান, পরিচালক-প্রযোজক তানিম নূর এবং নির্মাতা আদনান আল রাজীবকে। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তাতে তিনি লেখেন, “লেখক, শিক্ষক সুমন রহমান, পরিচালক-প্রযোজক তানিম নূর এবং আদনান আল রাজীবকে এক্সটার্নাল এক্সপার্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে একটা সার্চ কমিটি করা হয়েছে আজকে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাফরিজা শ্যামা এই কমিটির সভাপতি হিসেবে থাকছেন।”
‘রিমেম্বারিং মুনসুন রেভুলেশন’ প্রোগ্রামের কাজ ব্যাখ্যা করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, “আপনারা জানেন আমাদের সাতটা প্রায়োরিটি প্রোগ্রামের একটা ‘রিমেম্বারিং মুনসুন রেভুলেশন’। এর একটা উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে— ৮ বিভাগজুড়ে প্রোডাকশন ওরিয়েন্টেড ফিল্মমেকিং ওয়ার্কশপ করা। যে ওয়ার্কশপগুলোর লক্ষ্য দুইটা। এক, প্রতি বিভাগে দশজন করে প্রতিশ্রুতিশীল ফিল্মমেকারকে হাতেকলমে কাজ শেখানো। এই ওয়ার্কশপ পরিচালনা করবেন আটজন ফিল্মমেকার। দুই. এই আট ফিল্মমেকার একই সাথে একটা করে ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমা বানাবেন। এ সিনেমাগুলো জুলাই মাসে রিমেম্বারিং মুনসুন রেভুলেশন ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে দেখানো হবে। পরবর্তীতে টেলিভিশন এবং অনলাইনেও দেখানো হবে। এই সিনেমাগুলোতে সহকারী পরিচালক হিসেবে হাতেকলমে কাজ শেখার সুযোগ পাবেন ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারীরা।”
সার্চ কমিটি গঠনের কারণ ব্যাখ্যা করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, “এই আটটা ওয়ার্কশপ কারা নিবেন এবং ভিজ্যুয়াল কনটেন্টগুলো কারা বানাবেন এটা নির্বাচন করার জন্য সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। আট বিভাগের ভাই-বোনেরা, চোখ রাখুন ওয়ার্কশপের ঘোষণার জন্য। তার আগে চোখ রাখুন আপনার বিভাগে কে আসছেন জানতে। আশা করি, সার্চ কমিটি দ্রুত বসে নির্বাচন সম্পন্ন করবেন।”
আশাবাদ ব্যক্ত করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, “আমি তাকিয়ে আছি আজ থেকে পাঁচ বছর পরে যেন এটা শুনতে পাই কোনো একজন ফিল্ম মেকার হয়তো এসে আমার সঙ্গে দেখা করে বলবেন, ভাই, আমি একটা সিনেমা বানিয়েছি। আপনারা যে একটা ওয়ার্কশপ করেছিলেন অমুক বিভাগে, আমি ওইটাতে পার্টিসিপেট করেছিলাম।”
ফিল্মমেকার হওয়ার চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্নের কথা জানিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, ৮০ জন ওয়ার্কশপ পার্টিসিপেন্টকে নিয়ে ৮জন ফিল্মমেকার ওয়ার্কশপ করবেন, এই ৮০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন নিজেরা ফিল্মমেকার হয়ে দাঁড়াবেন। এই আগুনটাই আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই। পাশাপাশি এটাও চাই, ৮ জন ফিল্মমেকার যে ৮টা ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট বানাবেন, সেই কন্টেন্টগুলো যেন দেশে এবং দেশের বাইরে আমাদের সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। সবাইকে ধন্যবাদ। অনওয়ার্ডস অ্যান্ড আপওয়ার্ডস।”