২০২২ সালের শুরুতে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া। তারপর পরিবার এবং আদালত ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোর চেষ্টা বহুবার করেও ব্যর্থ হয়েছেন। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে গেলেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া।
ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা দেওয়ার পর পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া। এরপর তিনটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সমঝোতার মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে পুনরায় সংসার করার পরামর্শ দেন আদালত। কিন্তু ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া পুনরায় সংসারে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে তিনবারই ব্যর্থ হন।
গত ২১ নভেম্বর এ মামলার শুনানি ছিল। সেদিন কোনো রায় না দিয়ে ২৭ নভেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের আবেদন গ্রহণ করেন চেন্নাই পারিবারিক আদালত।
গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। পারিবারিক আদালতের বিচারক শোভা দেবী শেষবারের মতো তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানতে চান। কিন্তু ধানুশ-ঐশ্বরিয়া আলাদা হয়ে যাওয়ার ইচ্ছাই প্রকাশ করেন। এরপর রায় দেন আদালত।
২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেন ধানুশ। তাতে তিনি লেখেন, “১৮ বছর একসঙ্গে বন্ধু, দম্পতি, মা-বাবা ও শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে ছিলাম। উন্নতি, পরস্পরের প্রতি বোঝাপড়া, মানিয়ে নেওয়া, আয়ত্ত্ব করার একটা জার্নি ছিল। আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যেখানে আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেছে। ঐশ্বরিয়া ও আমি দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজেদেরকে আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য সময় নিচ্ছি।” একই বিবৃতি পোস্ট করেন ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তও।
ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত তামিল সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে। ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর ধানুশ ও তার বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই ছেলে— যাত্রা ও লিঙ্গা। ঐশ্বরিয়ার পরিচালনায় ‘থ্রি’ সিনেমায় অভিনয় করেন ধানুশ। এই সিনেমার ‘কলাভেরি ডি’ গানটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।