হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় আজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তেলেগু সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছেন নেট দুনিয়ায়।
আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জেনে হতবাক তার ভক্ত-অনুরাগীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলছে। এখন দুটো শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন তারা। কেউ বলছেন, “ঠিক হয়েছে।” কেউ বলছেন, “এটি অন্যায়।”
টিলু নামে একজন লেখেন, “আল্লু অর্জুনকে দোষ দেওয়া হাস্যকর। কারণ সেখানে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ভুলটা পুলিশের। তারকারা কোথাও গেলে সেখানে লোকসমাগম হবে, এটা সাধারণ বিষয়। এখানে দায়টা পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারকে নিতে হবে। কারণ তারা নিজেদের জীবন নিজেরাই বাজি ধরেছে।”
অ্যালন নামে একজন লেখেন, “এই মৃত্যুর জন্য আল্লু অর্জুন কী করতে পারেন? সত্যিকার অর্থে, তাকে দোষারোপ করাটা বোকামি।” আরেকজন লেখেন, “ভারতীয় আইন একটা হাস্যকর বিষয়। যেসব লোক প্রেক্ষাগৃহে হইহুল্লোড় করেছিল, যারা গেট ভেঙেছিল তাদের গ্রেপ্তার করুন। এখানে আল্লু অর্জুনের ভুলটা কোথায়?”
পাশাপাশি নেটিজেনদের একাংশ ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। আদিত্য কুমার লেখেন, “এটাই ভারতীয় আইন ও পুলিশের শক্তি।” শুক্লা লেখেন, “লজ্জা! আল্লু অর্জুন।” সিদ্ধার্থ লেখেন, “ভালো হয়েছে। আইন সবার জন্য সমান।” আরেকজন লেখেন, “অর্থ-খ্যাতি একটি জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে না।” এভাবে অসংখ্য নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন।
গত ৪ ডিসেম্বর রাতে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা সিনেমা হলে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে আল্লু অর্জুন উপস্থিত থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে উপচে পড়েন তার ভক্তরা। শত শত দর্শক ভিড় করলে ভেঙে পড়ে সিনেমা হলের প্রধান ফটক।
এতে অনেক মানুষ পদদলিত হন; জ্ঞান হারান ৩৯ বছরের রেবতি ও তার কিশোর পুত্র। দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে রেবতিকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটি চিকিৎসাধীন থাকলেও তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরবর্তীতে এ ঘটনায় মামলা করে মৃতের পরিবার। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আল্লু অর্জুনকে।