বিনোদন

উত্তরে মুখ ফিরে কেন খাবার খান অমিতাভ?

বিশ্বাসে মিলাই বস্তু, তর্কে বহুদূর— অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন প্রচলিত এই লোককথা যেন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন। তারই প্রমাণ মিলেছে তার সঞ্চালিত জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে। কারণ এ মঞ্চে অনুষ্ঠানটির এক প্রতিযোগী জানান, খাবার টেবিলে উত্তর দিকে মুখ করে বসেন অমিতাভ বচ্চন।

‘কেবিসি’ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এ প্রতিযোগীর নাম কৌশলেন্দ্র প্রতাপ সিং। তিনি অমিতাভ বচ্চনের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চনের লেখা বই নিয়ে এ মঞ্চে কথা বলেন। বইটি পড়ে জানতে পেরেছেন, বচ্চন পরিবারের সকলে সবসময় একসঙ্গে খাবার খেতে বসেন। খাবার টেবিলের মুখ থাকে উত্তর দিকে। বইটিতে লেখা আছে, বিগ বি সবসময় উত্তর দিকে মুখ করে খাবার টেবিলে বসেন।

উত্তরে মুখ ফিরে অমিতাভের খাবার খাওয়ার কারণও বইটিতে উল্লেখ রয়েছে। এ বিষয়ে কৌশলেন্দ্র প্রতাপ সিং জানান, উত্তর দিকে মুখ করে খেতে বসলে জীবনের বহু স্বপ্নপূরণ সম্ভব। দীর্ঘজীবী হওয়া যায়। আর এই শিক্ষাটি অমিতাভকে দিয়েছেন তার বাবাই।

কৌশলন্দ্রের এসব কথা শোনার পর তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন অমিতাভ বচ্চন। তার কথার প্রসঙ্গ টেনে বিগ বি বলেন, “আপনি একদম ঠিক বলছেন। আমি মনে করি, সত্য এবং দীর্ঘায়ুর মধ্য থেকে যদি কিছু বেছে নিতে বলা হয়, তবে আমি সত্যকে বেছে নেব। আমাদের বাড়িতে একটি লাকার খাবার টেবিল ছিল। আমি যখন টেবিলে বসতাম, সবসময় উত্তর দিকে মুখ করে বসতাম এবং আমার বাবা পূর্ব দিকে মুখ করে বসতেন।”

বাস্তুশাস্ত্র নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিভি নাইন। তাতে বলা হয়েছে, পূর্বদিকে মুখ করে খাবার খেলে শরীরে ইতিবাচক শক্তির বৃদ্ধি ঘটে। জীবনে শান্তি আসে। মানসিকভাবেও ওই ব্যক্তি শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তির উচিত সবসময় পূর্বদিকে মুখ করে খাবার খাওয়া। উত্তরদিকে মুখ করে খাবার খেলে সম্পদ ও জ্ঞানবৃদ্ধি ঘটে। কমবয়সি ছেলে-মেয়ে ও ছাত্রছাত্রীদের উত্তরদিকে মুখ করে খাদ্যগ্রহণ করা উচিত।

পশ্চিমদিকে মুখ করে খাবার খেতে পারেন ব্যবসায়ীরা। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এই অভ্যস ব্যবসায় সাফল্য আনে; সম্পদের বৃদ্ধি ঘটায়। দক্ষিণ দিককে যমের দিক বলে মনে করা হয়। তাই কখনো দক্ষিণ দিকে মুখ করে খাবার খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে দুর্ভাগ্য বাড়ে, স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, অর্থেরও নাশ ঘটে। বাস্তুশাস্ত্র থেকে জ্ঞান নিয়েই হরিবংশ রাই বচ্চন তার ছেলে অমিতাভকে এই পরামর্শ দেন। আর অমিতাভ বচ্চনও এই বিশ্বাসকে হৃদয়ে লালন করেন।