তাবাসসুম তিন্নি পেশায় মার্কেটিং কর্মকর্তা। একটি ফুড কোম্পানিতে সেলস টিমের নেতৃত্ব দেন। নিজেকে পরিপাটি রাখতে পছন্দ করেন তাবাসসুম। ক্যারিয়ারের গ্রাফটা যখন একটু একটু করে ওপরের দিকে যাচ্ছিল তখন খেয়াল করেন চুলের আগা ফেটে একাকার হয়ে যাচ্ছে। চুলের সমস্যা সমাধানে বাজারের কোনো প্রডাক্টের প্রতি আস্থা রাখতে পারেননি তিনি। বলতে গেলে পেছনের দিকে হেঁটেছেন।
তাবাসসুম বলেন, ‘আম্মার মুখে শুনেছি নানি কীভাবে চুলের যত্ন নিতেন-সেই গল্প। হাতে বানানো তেলের গল্প শুনে আমি আমার চুলের জন্য তেল বানানো শুরু করি। ওই তেল ব্যবহার করার পরে চুলের আগা ফাটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি চাচ্ছিলাম অন্যরাও এই সুবিধা পাক। সেই থেকে হাতে তৈরি তেল ‘মেহেদি মিক্সড হেয়ার অয়েল’ নিয়ে কাজ শুরু করা।’
নারী পুরুষ উভয়ই ‘মেহেদি মিক্সড হেয়ার অয়েল’ ব্যবহার করছেন বলে জানান তাবাসসুম। প্রথমে পরিচিতজনেরা তাবাসসুমের ‘মেহেদি মিক্সড হেয়ার অয়েল’ কিনতেন। এরপর তিনি অনলাইন দোকান (onlinedokan.com) নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পেইজ খোলেন। এবং নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গ্রুপে এই পণ্যের প্রচারণা চালান। ১৮ বছরের ওপরের বয়সের যেকোন নারী-পুরুষ ‘মেহেদি মিক্সড হেয়ার অয়েল’ ব্যবহার করতে পারেন।
দিনে দিনে তার মেহেদি মিক্সড হেয়ার অয়েল’জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এই তেল তৈরি রেসিপি তিনি মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন। এই কাজে তাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতাও করছেন তার মা।
তাবাসসুম বলেন, ‘আমার পরিবারে আমার আম্মা আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা।’
চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়া মোটেও সহজ কথা নয়। তাবাসসুম একজন মা। তবে সন্তানের দেখভালের জন্য সহযোগিতা পেয়ে থাকেন পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে।
তাবাসসুম বলেন, ‘আমার হাসবেন্ড আমার সবচেয়ে বড় সহযোগী। আমার ছোট ভাই আমার ছেলেকে সব সময় মায়ের মতো আগলে রেখেছে। আজকে আমি যা তার পুরোটা অবদান আমার পরিবারের। নেগেটিভ কথা কখনও কানে নেইনি। এভাবেই আমি এগিয়ে চলেছি।’
তাবাসসুমের স্বপ্ন, ৫ বছরের মধ্যে নিজের অনলাইন দোকানের কাজের পরিসব বাড়াবেন। তার কাজের সঙ্গে যুক্ত করবেন নারীদেরকে। বিশেষ করে অবহেলিত নারীদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে চান তিনি। এই লক্ষ্যে অনলাইন দোকানে একে একে যুক্ত করেছেন, ফ্যাশনের নানা অনুষঙ্গ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ইত্যাদি।